মহুয়া

     সাধক দাঁড়ায় তার কাছে ,

সহসা সংশয় লাগে যোগ্যতা কি আছে ;

          দুঃসাধ্যসাধন-তরে

               পথ খুঁজে মরে।

তুচ্ছতারে দাহে তার অবজ্ঞাদহন ;

              এনেছে সে করিয়া বহন

          ইন্দ্রাণীর গাঁথা মাল্য ; দিবে কণ্ঠে তার

              কার্মুকে যে দিয়েছে টংকার,

কাপট্যেরে হানিয়াছে, সত্যে যার ঋণী বসুমতী —

              নাম কি জয়তী।

 

ঝামরী

সে যেন খসিয়া-পড়া তারা,

মর্তের প্রদীপে নিল মৃত্তিকার কারা।

              নগরে জনতামরু,

সে যেন তাহারি মাঝে পথপ্রান্তে সঙ্গিহীন তরু,

              তারে ঢেকে আছে নিতি

          অরণ্যের সুগভীর স্মৃতি।

     সে যেন অকালে-ফোটা কুবলয়,

          শিশিরে কুণ্ঠিত হয়ে রয়।

     মন পাখা মেলিবারে চায় ,

          চারি দিকে ঠেকে যায়,

     জানে না কিসের বাধা তার ;

          অদৃষ্টের মায়াদুর্গদ্বার

          কোন্‌ রাজপুত্র এসে

     মন্ত্রবলে ভেঙে দেবে শেষে।

          আকাশে আলোতে

     নিমন্ত্রণ আসে যেন কোথা হতে,

          পথ রুদ্ধ চারি ধারে —

          মুখ ফুটে বলিতে না পারে

     অলক্ষ্য কী আচ্ছাদনে কেন সে আবৃতা।