কথা

         রহে সবে মুখে মুখে চাহি,

         কাহারও উত্তর কিছু নাহি।

নির্বাক্‌ সে সভাঘরে       ব্যথিত নগরী - ’পরে

         বুদ্ধের করুণ আঁখি দুটি

         সন্ধ্যাতারাসম রহে ফুটি।

 

 

         তখন উঠিল ধীরে ধীরে

         রক্তভাল লাজনম্রশিরে

অনাথপিণ্ডদসুতা           বেদনায় অশ্রুপ্লুতা,

         বুদ্ধের চরণরেণু লয়ে

         মধুকণ্ঠে কহিল বিনয়ে —

 

 

         ‘ ভিক্ষুণীর অধম সুপ্রিয়া

         তব আজ্ঞা লইল বহিয়া।

কাঁদে যারা খাদ্যহারা        আমার সন্তান তারা,

         নগরীরে অন্ন বিলাবার

         আমি আজি লইলাম ভার।’

 

 

         বিস্ময় মানিল সবে শুনি —

         ‘ ভিক্ষুকন্যা তুমি যে ভিক্ষুণী!

কোন্‌ অহংকারে মাতি      লইলে মস্তকে পাতি

         এ - হেন কঠিন গুরু কাজ!

         কী আছে তোমার কহো আজ।’

 

 

         কহিল সে নমি সবা - কাছে,

         ‘ শুধু এই ভিক্ষাপাত্র আছে।

আমি দীনহীন মেয়ে        অক্ষম সবার চেয়ে,

         তাই তোমাদের পাব দয়া —