একাকিনী
           একটি মেয়ে একেলা,
               সাঁঝের বেলা,
            মাঠ দিয়ে চলেছে।
         চারি দিকে সোনার ধান ফলেছে।
ওর      মুখেতে পড়েছে সাঁঝের আভা,
             চুলেতে করিছে ঝিকিমিকি।
        কে জানে কী ভাবে মনে মনে
           আনমনে চলে ধিকিধিকি।
         পশ্চিমে সোনায় সোনাময়,
           এত সোনা কে কোথা দেখেছে।
        তারি মাঝে মলিন মেয়েটি
           কে যেন রে এঁকে রেখেছে।
        মুখখানি কেন গো অমন ধারা,
        কোন্‌খানে হয়েছে পথহারা,
        কারে যেন কী কথা শুধাবে,
           শুধাইতে ভয়ে হয় সারা।
         চরণ চলিতে বাধে বাধে,
           শুধালে কথাটি নাহি কয়।
           বড়ো বড়ো আকুল নয়নে
           শুধু মুখপানে চেয়ে রয়।
           নয়ন করিছে ছলছল,
           এখনি পড়িবে যেন জল।
 
           সাঁঝেতে নিরালা সব ঠাঁই,
           মাঠে কোথাও জনপ্রাণী নাই —
         দূরে অতি দূরে দেখা যায়,
           মলিন সে সাঁঝের আলোতে
         ছায়া ছায়া গাছপালাগুলি
           মেশে মেশে মেঘের কোলেতে।
        বড়ো তোর বাজিতেছে পায়,