কথা

সমাপন করি গান                    সারিয়া মধ্যাহ্নস্নান

                দুর্গদ্বারে আসিলা যখন —

বালাজি নমিয়া তাঁরে               দাঁড়াইল এক ধারে

                পদমূলে রাখিয়া লিখন।

গুরু কৌতূহলভরে                  তুলিয়া লইলা করে,

                 পড়িয়া দেখিলা পত্রখানি —

বন্দি তাঁর পাদপদ্ম                  শিবাজি সঁপিছে অদ্য

                 তাঁরে নিজ রাজ্য - রাজধানী।

 

পরদিনে রামদাস                   গেলেন রাজার পাশ,

               কহিলেন, ‘ পুত্র, কহো শুনি,

রাজ্য যদি মোরে দেবে             কী কাজে লাগিবে এবে —

               কোন্‌ গুণ আছে তব গুণী?’

‘ তোমারি দাসত্বে প্রাণ              আনন্দে করিব দান’

               শিবাজি কহিলা নমি তাঁরে।

গুরু কহে, ‘ এই ঝুলি               লহ তবে স্কন্ধে তুলি,

               চলো আজি ভিক্ষা করিবারে।’

 

শিবাজি গুরুর সাথে                ভিক্ষাপাত্র লয়ে হাতে

               ফিরিলে পুরদ্বারে - দ্বারে।

নৃপে হেরি ছেলেমেয়ে             ভয়ে ঘরে যায় ধেয়ে,

               ডেকে আনে পিতারে মাতারে।

অতুল ঐশ্বর্যে রত,                 তাঁর ভিখারির ব্রত!

               এ যে দেখি জলে ভাসে শিলা!

ভিক্ষা দেয় লজ্জাভরে,           হস্ত কাঁপে থরেথরে,

                 ভাবে ইহা মহতের লীলা।

 

দুর্গে দ্বিপ্রহর বাজে,                 ক্ষান্ত দিয়া কর্মকাজে

                বিশ্রাম করিছে পুরবাসী।

একতারে দিয়ে তান                রামদাস গাহে গান

                আনন্দে নয়নজলে ভাসি,

‘ ওহে ত্রিভুবনপতি,                 বুঝি না তোমার মতি,