প্রভাতসংগীত
           শূন্যে  শূন্যে মাতিয়া বেড়ায়--
           হেথা ছোটে, হোথা ছুটে যায়।
           কী করিবে আপনা লইয়া
           যেন তাহা ভাবিয়া না পায়,
           আনন্দে ভাঙিয়া যেতে চায়।
           যে প্রাণ অনন্ত যুগ রবে
           সেই প্রাণ পেয়েছে নূতন,
           আনন্দে অনন্ত প্রাণ যেন
           মুহূর্তে করিতে চায় ব্যয়।
           অবশেষে আকাশ ব্যাপিয়া
           পড়িল প্রেমের আকর্ষণ।
           এ ধায় উহার পানে
           এ চায় উহার মুখে,
           আগ্রহে ছুটিয়া কাছে আসে।
           বাষ্পে বাষ্পে করে ছুটাছুটি,
           বাষ্পে বাষ্পে করে আলিঙ্গন।
           অগ্নিময় কাতর হৃদয়
           অগ্নিময় হৃদয়ে মিশিছে।
           জ্বলিছে দ্বিগুণ অগ্নিরাশি
           আঁধার হতেছে চুর চুর।
           অগ্নিময় মিলন হইতে
           জন্মিতেছে আগ্নেয় সন্তান,
           অন্ধকার শূন্যমরুমাঝে
           শত শত অগ্নি-পরিবার
           দিশে দিশে করিছে ভ্রমণ।
           নূতন সে প্রাণের উল্লাসে
           নূতন সে প্রাণের উচ্ছ্বাসে
           বিশ্ব যবে হয়েছে উন্মাদ,
           চারি দিকে উঠিছে নিনাদ,
           অনন্ত আকাশে দাঁড়াইয়া
           চারি দিকে চারি হাত দিয়া
           বিষ্ণু আসি মন্ত্র পড়ি দিলা,