লেখন

        যাবার যা সে যাবেই, তারে

                       না দিলে খুলে দ্বার

        ক্ষতির সাথে মিলায়ে বাধা

                       করিবে একাকার॥                       ১২১

 

      সাগরের কানে জোয়ার-বেলায়

                       ধীরে কয় তটভূমি,

      ‘তরঙ্গ তব যা বলিতে চায়

                       তাই লিখে দাও তুমি।’

      সাগর ব্যাকুল ফেন-অক্ষরে

                       যতবার লেখে লেখা

      চির-চঞ্চল অতৃপ্তিভরে

                 ততবার মোছে রেখা॥                        ১২২

 

    পুরানো মাঝে যা-কিছু ছিল চিরকালের ধন,

   নূতন, তুমি এনেছ তাই করিয়া আহরণ॥                         ১২৩

 

মিলননিশীথে ধরণী ভাবিছে চাঁদের কেমন ভাষা -

কোনো কথা নেই, শুধু মুখ চেয়ে হাসা॥                         ১২৪

 

    স্তব্ধ হয়ে কেন্দ্র আছে, না দেখা যায় তারে

    চক্র যত নৃত্য করি ফিরিছে চারি ধারে॥                           ১২৫

 

    দিবসের দীপে শুধু থাকে তেল,

                    রাতে দীপ আলো দেয়।

   দোঁহার তুলনা করা শুধু অন্যায়॥                         ১২৬

 

    গিরি যে তুষার নিজে রাখে, তার

                       ভার তারে চেপে রহে।

    গলায়ে যা দেয় ঝরনাধারায়

                         চরাচর তারে বহে॥                    ১২৭