লেখন

   পারের তরীর পালের হাওয়ার পিছে

   তীরের হৃদয় কান্না পাঠায় মিছে॥                            ১১৩

 

   সত্য তার সীমা ভালোবাসে,

   সেথায় সে মেলে আসি সুন্দরের পাশে॥                       ১১৪  

 

নটরাজ নৃত্য করে নব নব সুন্দরের নাটে,

বসন্তের পুষ্পরঙ্গে শস্যের তরঙ্গে মাঠে মাঠে।

তাঁহারি অক্ষয় নৃত্য, হে গৌরী, তোমার অঙ্গে মনে,

চিত্তের মাধুর্যে তব, ধ্যানে তব, তোমার লিখনে॥               ১১৫  

 

দিন দেয় তার সোনার বীণা নীরব তারার করে —

      চিরদিবসের সুর বাঁধিবার তরে॥                          ১১৬

 

              ভক্তি ভোরের পাখি

রাতের আঁধার শেষ না হতেই ‘আলো’ ব’লে ওঠে ডাকি॥   ১১৭

 

    সন্ধ্যায় দিনের পাত্র রিক্ত হলে ফেলে দেয় তারে

             নক্ষত্রের প্রাঙ্গণমাঝারে।

     রাত্রি তারে অন্ধকারে ধৌত করে পুন ভরি দিতে

             প্রভাতের নবীন অমৃতে॥                         ১১৮

 

        দিনের কর্মে মোর প্রেম যেন

                   শক্তি লভে,

        রাতের মিলনে   পরম শান্তি

                   মিলিবে তবে॥                           ১১৯

 

      ভোরের ফুল গিয়েছে যারা

                    দিনের আলো ত্যেজে

      আঁধারে তারা ফিরিয়া আসে

                   সাঁঝের তারা সেজে॥                     ১২০