শ্যামা
বাজবে বাঁশি দূরের হাওয়ায়,
চোখের জলে শূন্যে চাওয়ায়
কাটবে প্রহর–
বাজবে বুকে বিদায়পথের চরণ ফেলা দিনযামিনী,
হে গরবিনী।
স্বরলিপি
শ্যামা। ধরা সে যে দেয় নাই, দেয় নাই,
যারে আমি আপনারে সঁপিতে চাই–
কোথা সে যে আছে সঙ্গোপনে
প্রতিদিন শত তুচ্ছের আড়ালে আড়ালে আড়ালে।
এসো মম সার্থক স্বপ্ন,
করো মম যৌবন সুন্দর,
দক্ষিণবায়ু আনো পুষ্পবনে।
ঘুচাও বিষাদের কুহেলিকা,
নব প্রাণমন্ত্রের আনো বাণী।
পিপাসিত জীবনের ক্ষুব্ধ আশা
আঁধারে আঁধারে খোঁজে ভাষা–
শূন্যে পথহারা পবনের ছন্দে,
ঝ’রে-পড়া বকুলের গন্ধে॥
স্বরলিপি
সখীদের নৃত্যচর্চা, শেষে শ্যামার সজ্জা-সাধন। এমন সময়
বজ্রসেন ছুটে এল। পিছনে কোটাল
কোটাল। ধর্ ধর্, ওই চোর, ওই চোর। স্বরলিপি
বজ্রসেন।
নই আমি নই চোর, নই চোর, নই চোর।
অন্যায় অপবাদে আমারে ফেলো না ফাঁদে– স্বরলিপি
কোটাল। ওই
বটে, ওই চোর, ওই চোর, ওই চোর॥ স্বরলিপি
উভয়ের প্রস্থান
বজ্রসেন যে দিকে গেল
শ্যামা সে দিকে কিছুক্ষণ তন্ময় হয়ে তাকিয়ে রইল