চিত্রাঙ্গদা
           আজ মম রূপে বেশে  লিপি লিখি কার উদ্দেশে,
           এল   মর্মের বন্দিনী বাণী বন্ধন নাশি॥ স্বরলিপি
                      –
                     মীনকেতু,
           কোন্‌ মহারাক্ষসীরে দিয়েছ বাঁধিয়া অঙ্গসহচরী করি।
           এ মায়ালাবণ্য মোর কী অভিসম্পাত! ক্ষণিক যৌবনবন্যা
           রক্তস্রোতে তরঙ্গিয়া উন্মাদ করেছে মোরে॥


নূতন কান্তির উত্তেজনায় নৃত্য
           স্বপ্নমদির নেশায় মেশা এ উন্মত্ততা,
           জাগায় দেহে মনে এ কী বিপুল ব্যথা।
           বহে মম শিরে শিরে  এ কী দাহ, কী প্রবাহ–
           চকিতে সর্বদেহে ছুটে তড়িৎলতা।
           ঝড়ের পবনগর্জে হারাই আপনায়,
           দুরন্ত যৌবনক্ষুব্ধ অশান্ত বন্যায়।
           তরঙ্গ উঠে প্রাণে  দিগন্তে কাহার পানে,
           ইঙ্গিতের ভাষায় কাঁদে– নাহি নাহি কথা॥ স্বরলিপি
                       –
           এরে ক্ষমা কোরো সখা–
           এ যে এল তব আঁখি ভুলাতে,
               শুধু ক্ষণকালতরে মোহ-দোলায় দুলাতে
                         আঁখি ভুলাতে।
           মায়াপুরী হতে এল নাবি–
           নিয়ে এল স্বপ্নের চাবি,
               তব কঠিন হৃদয়দুয়ার খুলাতে,
                         আঁখি ভুলাতে॥ স্বরলিপি


প্রস্থান
অর্জুনের প্রবেশ
     অর্জুন।  কাহারে হেরিলাম!  আহা!