কালমৃগয়া
তৃতীয় দৃশ্য
কুটীর

অন্ধ ঋষি ও ঋষিকুমার

বেদপাঠ

অন্তরিক্ষোদরঃ কোশো ভূমিবুধ্নো ন জীর্য্যতি দিশো হস্য স্রক্তয়ো দ্যৌরস্যোত্তরং বিলং স এষ কোশোবসুধানস্তস্মিন্‌ বিশ্বমিদং শ্রিতম্‌॥

তস্য প্রাচী দিগ্‌ জুহূর্নাম সহমানা নাম দক্ষিণা রাজ্ঞী নাম প্রতীচী সুভূতা নামোদীচী
তাসাং বায়ুর্ব্বৎসঃ স য এতমেবং দিশাং বৎসং বেদ ন পুত্র রোদং রোদিতি
সোহহমেতমেবং বায়ুং দিশাং বৎসং বেদ মা পুত্ররোদং রুদম্‌॥


জয়জয়ন্তী– ঝাঁপতাল
অন্ধ ঋষি।   জল এনে দে রে বাছা তৃষিত কাতরে।
            শুকায়েছে কণ্ঠ তালু, কথা নাহি সরে।


মেঘগর্জ্জন
দেশ– ঢিমে তেতালা
না না কাজ নাই, যেয়ো না বাছা,–
গভীরা রজনী, ঘোর ঘন গরজে,
তুই যে এ অন্ধের নয়নতারা।
আর কে আমার আছে!
কেহ নাই, কেহ নাই–
তুই শুধু রয়েছিস হৃদয় জুড়ায়ে–
তোরেও কি হারাব বাছা রে,
সে ত প্রাণে স’বে না!


খাম্বাজ– ঢিলে তেতালা
ঋষিকুমার।   আমা-তরে অকারণে, ওগো পিতা, ভেবো না।
অদূরে সরযূ বহে, দূরে যাব না।
পথ যে সরল অতি,
চপলা দিতেছে জ্যোতি,