প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
“যাও ঠাকুরপো, তুমি যাও, ওরা দুজনে কোথায় গেল দেখে এসো, নইলে আমি নিজেই যাব, তাতে আমার শরীর ভাঙে ভাঙুক।”
“আচ্ছা, আচ্ছা, আমি যাচ্ছি।”
“আদিত্য ওর সঙ্গে এল দেখে সরলা বললে, “কেন এলে। ভালো করো নি। ফিরে যাও। আমার সঙ্গে তোমাকে এমন করে দেব না জড়াতে।”
“তুমি দেবে কি না সে তো কথা নয়, জড়িয়ে যে গেছেই। সেটা ভালো হোক বা মন্দ হোক তাতে আমাদের হাত নেই।”
“সে-সব কথা পরে হবে, ফিরে যাও, রোগীকে শান্ত করো গে।”
“আমাদের এই বাগানে আর-একটা শাখা বাড়াব সেই কথাটা—”
“আজ থাক্। আমাকে দু-চার দিন ভাববার সময় দাও, এখন আমার ভাববার শক্তি নেই।”
রমেন এসে বললে, “যাও দাদা, বউদিকে ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দাও গে, দেরি কোরো না। কিছুতেই কোনো কথা কইতে দিয়ো না ওঁকে। রাত হয়ে গেছে।”
আদিত্য চলে গেলে পর সরলা বললে, “শ্রদ্ধানন্দ পার্কে কাল তোমাদের একটা সভা আছে না?”
“আছে।”
“তুমি যাবে না?”
“যাবার কথা ছিল। কিন্তু এবার আর যাওয়া হল না।”
“কেন।”
“সে কথা তোমাকে বলে কী হবে।”
“তোমাকে ভীতু বলে সবাই নিন্দে করবে।”
“যারা আমায় পছন্দ করে না তারা আমায় নিন্দে করবে বৈকি।”
“তা হলে শোনো আমার কথা, আমি তোমাকে মুক্তি দেব। সভায় তোমাকে যেতেই হবে।”
“আর-একটু স্পষ্ট করে বলো।”
“আমিও যাব সভায় নিশেন হাতে নিয়ে।”
“বুঝেছি।”
“পুলিসে বাধা দেয় সেটা মানতে রাজি আছি কিন্তু তুমি বাধা দিলে মানব না।”
“আচ্ছা বাধা দেব না।”
“এই রইল কথা?”
“রইল।”
“আমরা দুজন একসঙ্গে যাব কাল বিকেল পাঁচটার সময়।”