শেষের কবিতা

    হে বন্ধু, বিদায়।



         তোমার হয় নি কোনো ক্ষতি।
মর্তের মৃত্তিকা মোর, তাই দিয়ে অমৃতমুরতি
        যদি সৃষ্টি করে থাক, তাহারি আরতি
      হোক তব সন্ধ্যাবেলা,
           পূজার সে খেলা
ব্যাঘাত পাবে না মোর প্রত্যহের ম্লান স্পর্শ লেগে;

         তৃষার্ত আবেগ-বেগে
ভ্রষ্ট নাহি হবে তার কোনো ফুল নৈবেদ্যের থালে।
         তোমার মানস-ভোজে সযত্নে সাজালে
যে ভাবরসের পাত্র বাণীর তৃষায়,
         তার সাথে দিব না মিশায়ে
যা মোর ধূলির ধন, যা মোর চক্ষের জলে ভিজে।

         আজো তুমি নিজে
         হয়তো-বা করিবে রচন
মোর স্মৃতিটুকু দিয়ে স্বপ্নাবিষ্ট তোমার বচন।
ভার তার না রহিবে, না রহিবে দায়।
         হে বন্ধু, বিদায়।


‍          মোর লাগি করিয়ো না শোক,
আমার রয়েছে কর্ম, আমার রয়েছে বিশ্বলোক।

         মোর পাত্র রিক্ত হয় নাই–
শূন্যেরে করিব পূর্ণ, এই ব্রত বহিব সদাই।
উৎকণ্ঠ আমার লাগি কেহ যদি প্রতীক্ষিয়া থাকে
         সেই ধন্য করিবে আমাকে।
         শুক্লপক্ষ হতে আনি
         রজনীগন্ধার বৃন্তখানি
             যে পারে সাজাতে
         অর্ঘ্যথালা কৃষ্ণপক্ষ রাতে,