প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
ইন্দুমতী। আবার তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে বুঝি!
ক্ষান্তমণি। তা ভাই, একলা তো আর ঘরকন্না হয় না। ওদের যে চাই, ওদের যে নইলে নয়। নইলে আমার কি সাধ ওদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখি।
ইন্দুমতী। তোমার কর্তাটিকে দেখবে তো এসো, ওই ঘর থেকে দেখা যাবে।
চন্দ্রকান্ত। সমস্ত ঠিক হয়ে গেছে।
শিবচরণ। কী হল বলো দেখি।
চন্দ্রকান্ত। ললিতের সঙ্গে কাদম্বিনীর বিবাহ স্থির হয়ে গেল।
নিবারণ। সে কী! সে যে বিবাহ করবে না শুনলুম?
চন্দ্রকান্ত। সে তো স্ত্রীকে বিবাহ করছে না। তার টাকা বিয়ে করে টাকাটি সঙ্গে নিয়ে বিলেত যাবে। যা হোক, এখন আর-একবার আমাদের নিমাইবাবুর মত নেওয়া উচিত—ইতিমধ্যে যদি আবার বদল হয়ে থাকে।
শিবচরণ। (ব্যস্তভাবে) না না, আর মত বদলাতে সময় দেওয়া হবে না। তার পূর্বেই আমরা পাঁচজনে পড়ে কোনো গতিকে ওর বিয়েটা দিয়ে দিতে হচ্ছে। চলো নিমাই, অনেক আয়োজন করবার আছে। (নিবারণের প্রতি) তবে চললেম ভাই।
নিবারণ। এসো।
ক্ষান্তমণি। এখন বাড়ি যেতে হবে? না কী।
চন্দ্রকান্ত। (দেওয়ালের দিকে মুখ করিয়া) নাঃ, আমি এখানে বেশ আছি।
ক্ষান্তমণি। তা তো দেখতে পাচ্ছি। তা, চিরকাল এইখানেই কাটাবে না কি।
চন্দ্রকান্ত। বিনুর সঙ্গে আমার তো সেইরকমই কথা হয়েছে।
ক্ষান্তমণি। বিনু তোমার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী কিনা, বিনুর সঙ্গে কথা হয়েছে! এখন ঢের হয়েছে, চলো।
চন্দ্রকান্ত। (জিব কাটিয়া মাথা নাড়িয়া) সে কি হয়! বন্ধুমানুষকে কথা দিয়েছি এখন কি সে ভাঙতে পারি।
ক্ষান্তমণি। আমার ঘাট হয়েছে, আমাকে মাপ করো তুমি। আমি আর কখনো বাপের বাড়ি গিয়ে থাকব না। তা, তোমার তো