মালিনী
মালিনীর প্রবেশ
মালিনী।                    আমি আসিয়াছি।
ক্ষেমংকর ও সুপ্রিয় ব্যতীত
সমস্ত ব্রাহ্মণের ভুমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম
সোমাচার্য।   এ কী দেবী, এ কী বেশ! দয়াময়ী এ যে
এসেছেন ম্লানবস্ত্রে নরকন্যা সেজে।
এ কী অপরূপ রূপ! এ কী স্নেহজ্যোতি
নেত্রযুগে! এ তো নহে সংহারমুরতি।
কোথা হতে এলে মাতঃ? কী ভাবিয়া মনে,
কী করিতে কাজ?
মালিনী।                    আসিয়াছি নির্বাসনে,
তোমরা ডেকেছ বলে ওগো বিপ্রগণ।
সোমাচার্য।   নির্বাসন।     স্বর্গ হতে দেবনির্বাসন
ভক্তের আহ্বানে!
চারুদত্ত।                 হায়, কী করিব মাতঃ,
তোমার সহায় বিনা আর রহে না তো
এ ভ্রষ্ট সংসার।
মালিনী।                আমি ফিরিব না আর।
জানিতাম, জানিতাম তোমাদের দ্বার
মুক্ত আছে মোর তরে। আমারি লাগিয়া
আছ বসে। তাই আমি উঠেছি জাগিয়া
সুখসম্পদের মাঝে, তোমরা যখন
সবে মিলি যাচিলে আমার নির্বাসন
রাজদ্বারে।
ক্ষেমংকর।             রাজকন্যা?
  সকলে।                      রাজার দুহিতা!
  সুপ্রিয়।       ধন্য ধন্য!
  মালিনী।             আমারে করেছ নির্বাসিতা?
তাই আজি মোর গৃহ তোমাদের ঘরে।
তবু একবার মোরে বলো সত্য করে
সত্যই কি আছে কোনো প্রয়োজন মোরে,