ভুবনমোহিনীপ্রতিভা, অবসরসরোজিনী ও দুঃখসঙ্গিনী
লোকের নিমিত্ত কবিতা লেখেন নাই। আর রাজকৃষ্ণবাবু তাঁহার কবিতার নিন্দা শুনিলে করিলেও গ্রাহ্য করিবেন না, কেননা তিনি পৃথিবীর লোকের নিমিত্ত কবিতা লেখেন নাই। আর রাজকৃষ্ণবাবু তাঁহার কবিতার নিন্দা শুনিলে মর্মান্তিক ক্ষুব্ধ হইবেন, কেননা যশেচ্ছাই তাঁহাকে কবি করিয়া তুলিয়াছে। একজন অশিক্ষিতা রমণীর প্রতিভায় ও একজন শিক্ষিত যুবকের প্রয়াসে এই প্রভেদ। কবিরা যেখানেই প্রায় পরের অনুকরণ করিতে যান সেইখানেই নষ্ট করেন ও যেখানে নিজের ভাব লেখেন সেইখানেই ভালো হয়, কেননা তাঁহাদের নিজের ভাবস্রোতের মধ্যে পরের ভাব ভালো করিয়া মিশে না। আর কুকবিরা প্রায় যেখানে পরের অনুকরণ বা অনুবাদ করেন সেইখানেই ভালো হয় ও নিজের ভাব জুড়িতে গেলেই নষ্ট করেন, কেননা হয় পরের মনোভাবেস্রাতের মধ্যে তাঁহাদের নিজের ভাব মিশে না কিংবা তাঁহার আশ্রয় উচ্চতর কবির কবিত্বের নিকট তাঁহার নিজের ভাব ‘হংসমধ্যে বক যথা’ হইয়া পড়ে। এই নিমিত্ত অবসরসরোজিনীর ‘মধুমক্ষিকা-দংশন’ ও ‘প্রবাহি চলিয়া যাও অয়ি লো তটিনী’ ইত্যাদি কবিতাগুলি মন্দ নাও লাগিতে পারে!
“THE WOUNDED CUPID”
Cupid, as he lay among
Rose, by a bee was stung.
Whereupon, in anger flying
To his mother said thus, crying,
Help, O help, your boy’s a-dying!
And why my pretty lad, said she.
Then, blubbering, replied he,
A winged snake has beaten me,
Which country people call a bee.
at which she smiled; then with her hairs
And kisses drying up his tears
Alas, said she, my wag! If this
Such a pernicious torment is;
Come, tell me then, how great’s the smart
Of those thou woundest with thy dart?
“HERRICK”
মধুমক্ষিকা-দংশন
একদা মদন করিয়া যতন,
বাছি বাছি তুলি কুসুমরতন
রচিল শয়ন মনের মতন,
*
ঘুমের ঘোরেতে হয়ে অচেতন