ডি প্রোফণ্ডিস্‌

Whereof our world is but the bounding shore –

Out of the deep, Spirit, out of the deep,

With this ninth moon, that sends the hidden sun

Down yon dark sea, thou comest, darling boy.

এবার কবি যে সমুদ্রের কথা উল্লেখ করিয়াছেন, তাহা আলোকের সমুদ্র নহে, অতীত বা ভবিষ্যৎ কালের দিকে তাহার উপকূল নাই, তাহা তিন কাল মগ্ন করিয়া বিরাজ করিতেছে। জগতের আত্মাকে তিনি উল্লেখ করিতেছেন। জগতের অন্তরস্থিত যথার্থ জগতের কথা বলিতেছেন। বাহ্য জগৎ সেই অন্তর্জগৎকে সীমাবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছে মাত্র।

Out of the deep, Spirit, out of the deep,

With this ninth moon, that sends the hidden sun

Down yon dark sea, thou comest, darling boy.

সেই সমুদ্র হইতে তুমি আসিতেছ। জ্যোতির্ম্ময় সূর্য্যকে সমুদ্রতলে বিসর্জ্জন দিয়া ক্ষীণালোকে চন্দ্র উদিত হইল। তাহার সঙ্গে সঙ্গে তুমিও উদিত হইলে, তুমিও মহাজ্যোতিকে বিসর্জ্জন করিয়া আসিলে। পূর্ব্বে যে মনুষ্যকে কবি সম্ভাষণ করিয়াছিলেন, সে অপরিস্ফুটতর অবস্থা হইতে পরিস্ফুটতা প্রাপ্ত হইয়াছে, এবারে যে আত্মাকে সম্ভাষণ করিতেছেন সে পূর্ণ অবস্থা হইতে অপূর্ণতা প্রাপ্ত হইয়াছে।

For in the world, which is not ours, They said

‘Let us make man’ and that which should be man,

From that one light no man can look upon,

Drew to this shore lit by the suns and moons

And all the shadows.

কি মহারহস্যপূর্ণ উক্তি! কিছুই স্থির করিতে পারিতেছি না, কিছুরই সীমা পাইতেছি না। “সে জগৎ আমাদের নহে।” সে কোন্‌ জগৎ? কে জানে কোন্‌ জগৎ। মহাকবি আদিকবির মনোজগৎ কি? “They said” তাহারা কহিল– কাহারা? কে জানে কাহারা! তাঁহার মনোরাজ্যের অধিবাসীরা? তাঁহার ভাব- সমূহ? তাঁহার কল্পনা? এখানে সমস্তই রহস্য। কবি আলোকের রাজ্যে অন্ধ হইয়া দিশাহারা হইয়া গিয়াছেন, স্পষ্ট করিয়া কিছুই দেখিতে পাইতেছেন না। এই নিমিত্ত তাঁহার কথা অস্পষ্ট অথচ মহান্‌ ভাবপূর্ণ। আমরা কল্পনায় দেখিতে পাইতেছি, একটি মর্ত্ত্যের শিশু বর্ণনার অতীত মহাজ্যোতির্ম্ময় অনন্ত রাজ্যের মধ্যে গিয়া পড়িয়াছে; কোথায় কি ঠাহর পাইতেছে না, চোখে ধাঁধা লাগিয়াছে, মন অভিভূত হইয়া গিয়াছে, মুখে কথা ফুটিতেছে না। তিনি কহিতেছেন, “যে জগৎ আমাদের নহে, সেই জগতে তাহারা কহিল– ‘আইস, আমরা মনুষ্য হই’।– ভাবী মনুষ্য, মনুষ্যচক্ষুর অসহনীয় সেই এক- আলোক হইতে এই ছায়ালোকিত উপকূলে আসিয়া উপস্থিত হইল।” One light ইতে তাহারা আসিতেছে। সেই জ্যোতির তাহারা অংশ। খৃষ্টান সমালোচকগণ এ-সকল ভাব বুঝিবে কিরূপে?

O dear Spirit half-lost

In thine own shadow and this fleshly sign

That thou art thou – who wailest being born

And banish’d into mystery, and the pain