তারা দেখেও দেখে না,
তারা বুঝেও বুঝে না,
তারা ফিরেও না চায়॥
স্বরলিপি
শান্তা। আমি তো বুঝেছি সব, যে বোঝে না - বোঝে,
গোপনে হৃদয় দুটি কে কাহারে খোঁজে।
আপনি বিরহ গড়ি আপনি রয়েছে পড়ি,
বাসনা কাঁদিছে বসি হৃদয়সরোজে।
আমি কেন মাঝে থেকে দুজনারে রাখি ঢেকে,
এমন ভ্রমের তলে কেন থাকি মজে॥
স্বরলিপি
প্রমদার প্রতি
অশোক।
এতদিন বুঝি নাই, বুঝেছি ধীরে–
ভালো যারে বাস তারে আনিব ফিরে।
হৃদয়ে হৃদয় বাঁধা, দেখিতে না পায় আঁধা–
নয়ন রয়েছে ঢাকা নয়ননীরে॥
স্বরলিপি
শান্তা ও স্ত্রীগণ। চাঁদ হাসো, হাসো–
হারা হৃদয় দুটি ফিরে এসেছে।
পুরুষগণ। কত দুখে কত
দূরে আঁধারসাগর ঘুরে
সোনার তরণী দুটি তীরে এসেছে।
মিলন দেখিবে বলে ফিরে বায়ু কুতূহলে,
চারিধারে ফুলগুলি ঘিরে এসেছে।
সকলে। চাঁদ
হাসো, হাসো–
হারা হৃদয় দুটি ফিরে এসেছে॥
স্বরলিপি
প্রমদা।
আর কেন, আর কেন
দলিত কুসুমে বহে বসন্তসমীরণ।
ফুরায়ে গিয়েছে বেলা– এখন এ মিছে খেলা–
নিশান্তে মলিন দীপ কেন জ্বলে অকারণ।
সখীগণ।
অশ্রু যবে ফুরায়েছে তখন মুছাতে এলে
অশ্রুভরা হাসিভরা নবীন নয়ন ফেলে!
প্রমদা।
এই লও, এই ধরো– এ মালা তোমরা পরো–
এ খেলা তোমরা খেলো, সুখে থাকো অনুক্ষণ॥
স্বরলিপি
অমর।
এ ভাঙা সুখের মাঝে নয়নজলে
এ মলিন মালা কে লইবে।