মায়ার খেলা

                       সাধের বকুলহার।

             আধফুট জুঁইগুলি   যতনে আনিয়ে তুলি

             গাঁথি গাঁথি সাজায়ে দে মোরে

                কবরী ভরিয়ে ফুলভার।

             তুলে দে লো চঞ্চল কুন্তল,

                কপোলে পড়িছে বারেবার।

     প্রথমা।    আজি এত শোভা কেন,

                 আনন্দে বিবশা যেন–

    দ্বিতীয়া।    বিম্বাধরে হাসি নাহি ধরে,

                 লাবণ্য ঝড়িয়া পড়ে ধরাতলে!

     প্রথমা।    সখী, তোরা দেখে যা, দেখে যা–

                তরুণ তনু এত রূপরাশি বহিতে পারে না বুঝি আর॥ স্বরলিপি

     তৃতীয়া।   সখী,   বহে গেল বেলা, শুধু হাসিখেলা

                        এ কি আর ভালো লাগে!

                আকুল তিয়াষ প্রেমের পিয়াস

                        প্রাণে কেন নাহি জাগে।

             কবে আর হবে থাকিতে জীবন

             আঁখিতে আঁখিতে মদির মিলন–

             মধুর হুতাশে মধুর দহন

                        নিত - নব অনুরাগে।

             সখী,    তরল কোমল নয়নের জল

                     নয়নে উঠিবে ভাসি।

             সখী,    সে বিষাদনীরে নিবে যাবে ধীরে

                    প্রখর চপল হাসি।

             উদাস নিশ্বাস আকুলি উঠিবে,

             আশা - নিরাশায় পরান টুটিবে,

              মরমের আলো কপোলে ফুটিবে

                     শরম - অরুণ রাগে॥ স্বরলিপি

     প্রমদা।    ওলো,   রেখে দে সখী, রেখে দে–

                       মিছে কথা ভালোবাসা।

                 সুখের বেদনা, সোহাগযাতনা–

                        বুঝিতে পারি না ভাষা।