অচলায়তন
দর্ভকপল্লী
গান

পঞ্চক।                               আমি যে  সব নিতে চাই, সব নিতে ধাই রে।

আমি    আপনাকে ভাই মেলব যে বাইরে।

         পালে আমার লাগল হাওয়া,

         হবে আমার সাগর যাওয়া,

ঘাটে তরী নাই বাঁধা নাই রে।

         সুখে দুখে বুকের মাঝে

         পথের বাঁশি কেবল বাজে,

সকল কাজে শুনি যে তাই রে।

         পাগলামি আজ লাগল পাখায়,

         পাখি কি আর থাকবে শাখায়?

দিকে দিকে সাড়া যে পাই রে।

আচার্যের প্রবেশ

পঞ্চক। দূরে থেকে নানাপ্রকার শব্দ শুনতে পাচ্ছি আচার্যদেব! অচলায়তনে বোধ হয় খুব সমারোহ চলছে।

আচার্য। সময় তো হয়েছে। কালই তো তাঁর আসবার কথা ছিল। আমার মনটা ব্যাকুল হয়ে উঠেছে। একবার সূতসোমকে ওখানে পাঠিয়ে দিই।

পঞ্চক। তিনি আজ একাদশীর তর্পণ করবেন বলে কোথায় ইন্দ্রতৃণ পাওয়া যায় সেই খোঁজে বেরিয়েছেন।

দর্ভকদলের প্রবেশ

পঞ্চক। কী ভাই, তোরা এত ব্যস্ত কিসের?

প্রথম দর্ভক। শুনছি অচলায়তনে কারা সব লড়াই করতে এসেছে।

আচার্য। লড়াই কিসের? আজ তো গুরু আসবার কথা।

দ্বিতীয় দর্ভক। না না, লড়াই হচ্ছে খবর পেয়েছি। সমস্ত ভেঙেচুরে একাকার করে দিলে যে।

তৃতীয় দর্ভক। বাবাঠাকুর, তোমরা যদি হুকুম কর আমরা যাই ঠেকাই গিয়ে।

আচার্য। ওখানে তো লোক ঢের আছে, তোমাদের ভয় নেই বাবা।

প্রথম দর্ভক। লোক তো আছে কিন্তু তারা লড়াই করতে পারবে কেন?

দ্বিতীয় দর্ভক। শুনেছি কতরকম মন্ত্রলেখা তাগাতাবিজ দিয়ে তারা দুখানা হাত আগাগোড়া কষে বেঁধে রেখেছে। খোলে না, পাছে কাজ করতে গেলেই তাদের হাতের গুণ নষ্ট হয়।