যুগান্তর
ডাকিতেন, তখন এক বৎসরের বালিকা রাধারানী অচিরোদ্‌গত-দন্তাবলীশোভিত মুখচন্দ্রে একটু হাসিয়া, ঝাঁপাইয়া তাঁহার ক্রোড়ে গিয়া পড়িত। তাহাকে বুকে চাপিয়া ধরিয়া বলিতেন –‘রাখালের সনে প্রেম করিস নে রাই!” অমনি চক্ষে জলধারা বহিত।’
ডাকিতেন, তখন এক বৎসরের বালিকা রাধারানী অচিরোদ্‌গত-দন্তাবলীশোভিত মুখচন্দ্রে একটু হাসিয়া, ঝাঁপাইয়া তাঁহার ক্রোড়ে গিয়া পড়িত। তাহাকে বুকে চাপিয়া ধরিয়া বলিতেন –‘রাখালের সনে প্রেম করিস নে রাই!” অমনি চক্ষে জলধারা বহিত।’

এ দিকে শিশুকন্যা টিমিমণি, নবীনের সহিত তাঁহার ভ্রাতৃবধূর সম্বন্ধ, নবীনের রাঙা মা- এগুলিও লেখক বড়ো সরল এবং সরস সুমিষ্টভাবে ফুটাইয়া তুলিয়াছেন।
লেখক ধারাবাহিক গল্পের প্রতি বড়ো-একটা দৃষ্টিপাত করেন নাই – আমরাও গল্পের জন্য বিশেষ লালায়িত নাই। আমরা একজন রীতিমত মানুযের আনন্দজনক বিশ্বাসজনক জীবনবৃত্তান্ত চাহি – নশিপুর গ্রামে তর্কভুষণ-পরিবারের আদ্যোপান্ত বিবরণ শুনিয়া যাইতে অমাদের কিছুমাত্র শ্রান্তিবোধ হইত না; কারন, তর্কভূষণ অমাদের হৃদয় আকর্ষণ করিতে পারিয়াছেন। কিন্ত লেখক দুইখানি বাহির পাতা পরস্পর উল্টাপাল্টা করিয়া দিয়া একসঙ্গে বাঁধাইয়া দপ্তরির অন্ন মারিয়ছেন এবং পাঠকদিগের রসভঙ্গ করিয়াছেন, এ আক্ষেপ আমরা কিছুতেই ভুলিতে পারিব না।