রসিক

তিনকড়ি। বুঝেছেন ধীরাজবাবু?

ধীরাজ। কিচ্ছু বুঝি নি।

নেপাল। ধীরাজবাবু, বুঝেছেন তো?

ধীরাজ। না বাপু, কথাগুলো কী বলে গেলেন বুঝলুম না।

তিনকড়ি। কথা নেই বুঝলেন, ওর মজাটা তো বুঝেছেন? কথা তো আমরাও বুঝি নি।

দামোদর। রসিকবাবু, ঐ কথাগুলোও লিখতে হবে।

রসিক। ( ধীরাজের প্রতি ) আপনার মুখে হাসি নেই যে? হাসলে কোনো লোকসান আছে?

ধীরাজ। রাগ করবেন না মশায়, হাসবার চেষ্টা করছি।

চিন্তামণি। আপনি বুঝি ভ্রাতাদের কেউ হবেন?

রসিক। ভ্রাতাও হতে পারেন ভর্তাও হতে পারেন।

দামোদর প্রভৃতি। ( হাততালি দিয়া) বাহবা, বাহবা, কী মজা! হো হো হা হা!

দামোদর। এটাও লিখবেন। ভারি মজা হবে।

নীলমণি। ( ধীরাজকে ধরিয়া ) মশায়, যান কোথায়?

ধীরাজ। বুকে টার্পিন মালিশ করতে যাচ্ছি, রসিকবাবু বড্ড বলেছেন।

[ প্রস্থান

চিন্তামণি। লোকটা জব্দ হয়ে গেছে। পাঁচ কথা যা শোনালেন ওর বাপের বয়সে-

রসিক। পাঁচ কথা আর হতে দিলে কই? আড়াইখানার বেশি কথাই কই নি।

রসিককে ঘিরিয়া সকলের অবিশ্রাম হাস্য

দামোদর। দুখানা নয়, দশখানা নয়, আড়াইখানা — কী চমৎকার, ও কথাটাও লিখতে হবে। টুকে রাখুন, বুঝেছেন রসিকবাবু!