কাহিনী

চতুর্থী।     দু-চোখ চক্ষু-জলেতে ভাসান।

 

দাসীর প্রবেশ

 

দাসী।      ঠাকরুন এক এসেছেন দ্বারে,

হুকুম পেলেই তাড়াই তাঁহারে।

ক্ষীরো।      না না ডেকে দে-না। আজ কিজন্য

মন আছে মোর বড়ো প্রসন্ন।


ঠাকুরানীর প্রবেশ

 

ঠাকুরানী।    বিপদে পড়েছি, তাই এনু চলে।

ক্ষীরো।      সে তো জানা কথা। বিপদে না প'লে

শুধু যে আমার চাঁদমুখখানি

দেখতে আস নি সেটা বেশ জানি।

ঠাকুরানী।    চুরি হয়ে গেছে ঘরেতে আমার —

ক্ষীরো।      মোর ঘরে বুঝি শোধ নেবে তার?

ঠাকুরানী।    দয়া করে যদি কিছু করো দান

এ যাত্রা তবে বেঁচে যায় প্রাণ।

ক্ষীরো।      তোমার যা-কিছু নিয়েছে অন্যে

দয়া চাও তুমি তাহার জন্যে!

আমার যা তুমি নিয়ে যাবে ঘরে

তার তরে দয়া আমায় কে করে।

ঠাকুরানী।    ধনসুখ আছে যার ভাণ্ডারে

দানসুখে তার সুখ আরো বাড়ে।

গ্রহণ যে করে তারি হেঁট মুখ,

দুঃখের পরে ভিক্ষার দুখ।

তুমি সক্ষম, আমি নিরুপায়,

অনায়াসে পার ঠেলিবারে পায়।

ইচ্ছা না হয় না'ই কোরো দান,

অপমানিতেরে কেন অপমান!

চলিলাম তবে, বলো দয়া ক'রে

বাসনা পুরিবে গেলে কার ঘরে।