শ্যামা
বজ্রসেন যে দিকে গেল শ্যামা সে দিকে কিছুক্ষণ তন্ময় হয়ে তাকিয়ে রইল

  শ্যামা।             আহা মরি মরি,

মহেন্দ্রনিন্দিতকান্তি উন্নতদর্শন

কারে বন্দী করে আনে

চোরের মতন কঠিন শৃঙ্খলে।

শীঘ্র যা লো সহচরী, যা লো, যা লো–

বল্‌ গে নগরপালে মোর নাম করি,

শ্যামা ডাকিতেছে তারে।

বন্দী সাথে লয়ে একবার

আসে যেন আমার আলয়ে দয়া করি॥

[শ্যামা ও সখীদের প্রস্থান

  সখী।   সুন্দরের বন্ধন নিষ্ঠুরের হাতে

ঘুচাবে কে।

নিঃসহায়ের অশ্রুবারি পীড়িতের চক্ষে

মুছাবে কে।

আর্তের ক্রন্দনে হেরো ব্যথিত বসুন্ধরা,

অন্যায়ের আক্রমণে বিষবাণে জর্জরা–

প্রবলের উৎ পীড়নে কে বাঁচাব দুর্বলেরে,

অপমানিতেরে কার দয়া বক্ষে লবে ডেকে।

[সহচরীর প্রস্থান
বজ্রসেন ও কোটাল-সহ শ্যামার পুনঃপ্রবেশ
          শ্যামা।  তোমাদের এ কী ভ্রান্তি–

কে ওই পুরুষ দেবকান্তি,

প্রহরী, মরি মরি।

এমন করে কি ওকে বাঁধে।

দেখে যে আমার প্রাণ কাঁদে।

বন্দী করেছ কোন্‌ দোষে।

কোটাল।                 চুরি হয়ে গেছে রাজকোষে,

চোর চাই যে করেই হোক।

হোক-না সে যেই-কোনো লোক, চোর চাই।

নহিলে মোদের যাবে মান!