শ্যামা
দ্বিতীয় দৃশ্য
শ্যামার সভাগৃহে কয়েকটি সহচরী বসে আছে
নানা কাজে নিযুক্ত

 সখীরা।  হে বিরহী, হায়, চঞ্চল হিয়া তব–

নীরবে জাগ একাকী শূন্য মন্দিরে,

কোন্‌ সে নিরুদ্দেশ-লাগি আছ জাগিয়া।

স্বপনরূপিণী অলোকসুন্দরী

অলক্ষ্য অলকাপুরী-নিবাসিনী,

তাহার মুরতি রচিলে বেদনায় হৃদয়মাঝারে।


উত্তীয়ের প্রবেশ

 সখীরা।  ফিরে যাও কেন ফিরে ফিরে যাও

বাহিয়া বিফল বাসনা।

চিরদিন আছ দূরে

অজানার মতো নিভৃত অচেনা পুরে।

কাছে আস তবু আস না,

বহিয়া বিফল বাসনা।

পারি না তোমায় বুঝিতে–

ভিতরে কারে কি পেয়েছ,

বাহিরে চাহ না খুঁজিতে।

না-বলা তোমার বেদনা যত

বিরহপ্রদীপে শিখার মতো,

নয়নে তোমার উঠেছে জ্বলিয়া

নীরব কী সম্‌ভাষণা॥

 উত্তীয়।  মায়াবনবিহারিণী হরিণী

গহনস্বপনসঞ্চারিণী,

কেন তারে ধরিবারে করি পণ

অকারণ।

থাক্‌ থাক্‌, নিজ-মনে দূরেতে,

আমি শুধু বাঁশরির সুরেতে