রাজা ও রানী

কাশ্মীরের সিংহাসন কর নাই জয়।

বিক্রমদেব।  বিনা যুদ্ধে করিয়াছে কাশ্মীর আমারে

আত্মসমর্পণ। যুদ্ধ চাও যুদ্ধ করো,

রয়েছি প্রস্তুত। আমার এ সিংহাসন।

যারে ইচ্ছা দিব।

  চন্দ্রসেন।                   তুমি দিবে! জানি আমি

গর্বিত কুমারসেন জন্মকাল হতে।

সে কি লবে আপনার পিতৃসিংহাসন

ভিক্ষার স্বরূপে? প্রেম দাও প্রেম লবে,

হিংসা দাও প্রতিহিংসা লবে, ভিক্ষা দাও

ঘৃণাভরে পদাঘাত করিবে তাহাতে।

বিক্রমদেব।  এত গর্ব যদি তার তবে সে কি কভু

ধরা দিতে মোর কাছে আপনি আসিত?

  চন্দ্রসেন।  তাই ভাবিতেছি, মহারাজ, নহে ইহা

কুমারসেনের মতো কাজ। দৃপ্ত যুবা

সিংহ-সম। সে কি আজ স্বেচ্ছায় আসিবে

শৃঙ্খল পরিতে গলে? জীবনের মায়া

এতই কি বলবান।

প্রহরীর প্রবেশ

   প্রহরী।                      শিবিকার দ্বার

রুদ্ধ করি প্রাসাদে আসিছে যুবরাজ।

বিক্রমদেব।  শিবিকার দ্বার রুদ্ধ?

  চন্দ্রসেন।                      সে কি আর কভু

দেখাইবে মুখ? আপনার পিতৃরাজ্যে

আসিছে সে স্বেচ্ছাবন্দী হয়ে ; রাজপথে

লোকারণ্য চারি দিকে, সহস্রের আঁখি

রয়েছে তাকায়ে। কাশ্মীর-ললনা যত

গবাক্ষে দাঁড়ায়ে। উৎসবের পূর্ণচন্দ্র

চেয়ে আছে আকাশের মাঝখান হতে।

সেই চিরপরিচিত গৃহ পথ হাট

সরোবর মন্দির কানন, পরিচিত