রাজা ও রানী

খুনীর ছুরির মতো বাঁকা বিষ-মাখা?

নহে নহে কভু নহে। এ হিংসা আমার

চোর নহে, ক্রুর নহে, নহে ছদ্মবেশী।

প্রচণ্ড প্রেমের মতো প্রবল এ জ্বালা

অভ্রভেদী সর্বগ্রাসী উদ্দাম উন্মাদ

দুর্নিবার! নহি আমি তোদের আত্মীয়।

হে বিক্রম, ক্ষান্ত করো এ সংহার-খেলা।

এ শ্মশাননৃত্য তব থামাও থামাও,

নিবাও এ চিতা। পিশাচ-পিশাচী যত

অতৃপ্ত হৃদয়ে লয়ে দীপ্ত হিংসাতৃষা

ফিরে যাক রুদ্ধ রোষে, লালায়িত লোভে।

এক দিন দিব বুঝাইয়া, নহি আমি

তোমাদের কেহ। নিরাশ করিব এই

গুপ্ত লোভ, বক্র রোষ, দীপ্ত হিংসাতৃষা।

দেখিব কেমন ক'রে আপনার বিষে

আপনি জ্বলিয়া মরে নর-বিষধর।

রমণীর হিংস্র মুখ সূচিময় যেন—

কী ভীষণ, কী নিষ্ঠুর, একান্ত কুৎসিত!

চরের প্রবেশ

      চর।  ত্রিচূড়ের অভিমুখে গেছেন কুমার।

বিক্রমদেব।  এ সংবাদ রাখিয়ো গোপনে। একা আমি

যাব সেথা মৃগয়ার ছলে।

      চর।                           যে আদেশ।


ষষ্ঠ দৃশ্য অরণ্য
শুষ্ক পর্ণশয্যায় কুমারসেন শয়ান। সুমিত্রা আসীন

কুমারসেন। কত রাত্রি?

   সুমিত্রা।          রাত্রি আর নাই ভাই! রাঙা

হয়ে উঠেছে আকাশ! শুধু বনচ্ছায়া