কাহিনী

অনলে করেছি ভস্ম। সে পাপজ্বালায়

জ্বলিয়াছি আমরণ, এখনো সে তাপ

অন্তরে দিতেছে দাগি নিত্য অভিশাপ।

হায় পুত্র, হায় বৎ স নবনীনির্মল,

করুণকোমলকান্ত, হা মাতৃবৎসল,

একান্ত নির্ভরপর পরম দুর্বল

সরল চঞ্চল শিশু পিতৃ-অভিমানী,

অগ্নিরে খেলনাসম পিতৃদান জানি

ধরিলি দু হাত মেলি বিশ্বাসে নির্ভয়ে।

তার পরে কী ভর্ৎ সনা ব্যথিত বিস্ময়ে

ফুটিল কাতর চক্ষে বহ্নিশিখাতলে

অকস্মাৎ! হে নরক, তোমার অনলে

হেন দাহ কোথা আছে যে জিনিতে পারে

এ সন্তাপ! আমি কি যাব স্বর্গদ্বারে!

দেবতা ভুলিতে পারে এ পাপ আমার

আমি কি ভুলিতে পারি সে দৃষ্টি তাহার,

সে অন্তিম অভিমান? দগ্ধ হব আমি

নরক-অনল-মাঝে নিত্য দিনযামী,

তবু বৎস, তোর সেই নিমেষের ব্যথা,

আচম্বিত বহ্নিদাহে ভীত কাতরতা

পিতৃমুখপানে চেয়ে, পরম বিশ্বাস

চকিতে হইয়া ভঙ্গ মহা নিরাশ্বাস,

তার নাহি হবে পরিশোধ।

 

ধর্মের প্রবেশ

ধর্ম।                         মহারাজ,

স্বর্গ অপেক্ষিয়া আছে তোমা-তরে আজ,

চলো ত্বরা করি।

সোমক।                    সেথা মোর নাহি স্থান

ধর্মরাজ! বধিয়াছি আপন সন্তান

বিনা পাপে।

ধর্ম।                করিয়াছ প্রায়শ্চিত্ত তার