কাহিনী

সাগরের পদে।

অমাবাই।                পুত্র মোর!

বিনায়ক রাও।                         তার কথা

দূর কর্। অতীতনির্মুক্ত পবিত্রতা

ধৌত করে দিক তোরে। সদ্যশিশুসম

আর বার আয় বৎ সে, পিতৃকোলে মম

বিস্মৃতিমাতার গর্ভ হতে। নব দেশে,

নব তরঙ্গিণীতীরে, শুভ্র হাসি হেসে

নবীন কুটিরে মোর জ্বালাবি আলোক

কন্যার কল্যাণকরে।

অমাবাই।                জ্বলে পতিশোক

বিশ্ব হেরি ছায়াসম ; তোমাদের কথা

দূর হতে আনে কানে ক্ষীণ অস্ফুটতা,

পশে না হৃদয়মাঝে। ছেড়ে দাও মোরে,

ছেড়ে দাও। পতিরক্তসিক্ত স্নেহডোরে

বেঁধো না আমায়।

বিনায়ক রাও।                   কন্যা নহেকো পিতার।

শাখাচ্যুত পুষ্প শাখে ফিরে নাকো আর।

কিন্তু রে শুধাই তোরে কারে কস পতি

লজ্জাহীনা! কাড়ি নিল যে ম্লেচ্ছ দুর্মতি

জীবাজির প্রসারিত বরহস্ত হতে

বিবাহের রাত্রে তোরে— বঞ্চিয়া কপোতে

শ্যেন যথা লয়ে যায় কপোতবধূরে

আপনার ম্লেচ্ছ নীড়ে— সে দুষ্ট দস্যুরে

পতি কস তুই! সে রাত্রি কি মনে পড়ে?

বিবাহসভায় সবে উৎসুক-অন্তরে

বসে আছি, — শুভলগ্ন হল গতপ্রায়,—

জীবাজি আসে না কেন সবাই শুধায়,

চায় পথপানে। দেখা দিল হেনকালে

মশালের রক্তরশ্মি নিশীথের ভালে,

শোনা গেল বাদ্যরব হর্ষে উচ্ছ্বসিল

অন্তঃপুরে উলুধ্বনি। দুয়ারে পশিল