রোগের চিকিৎসা

পিতা। চৈতন্য কাকে বলে দেখবি? ( পিঠে কিল মারিয়া) চৈতন্য একে বলে।

হারাধন। এ তো আমার রোজই হয়।

পিতা। আমি দেখছি তুমি জেলে গিয়েই মরবে!

হারাধন। না বাবা, রোজ চৈতন্য পেলে ঘরে মরব।

পিতা। নাঃ, তোকে আর পেরে উঠলেম না।

হারাধন। ( চুপড়ির দিকে চাহিয়া ) বাবা, তাল এনেছ কার জন্যে? আমি খাব।

পিতা। ( পৃষ্ঠে কিল মারিয়া ) এই খাও।

হারাধন। ( পিঠে হাত বুলাইয়া ) এ তো ভালো লাগল না!

নেপথ্যে। হারু!

হারাধন। কী মা!

নেপথ্যে। তোর জন্যে তালের বড়া করে রেখেছি — খাবি আয়।

[ খোঁড়াইতে খোঁড়াইতে হারাধনের প্রস্থান


দ্বিতীয় দৃশ্য
ডাক্তার-সাহেবের আস্তাবলে হারাধন হাঁস-চুরি-করণে প্রবৃত্ত

পিতা। ( দুর হইতে) হারু!

হারাধন। ঐ রে, বাবা আসছে! কী করি?

 

হারাধনের গলা হইতে পেট পর্যন্ত থলি ঝুলিতেছিল, তাড়াতাড়ি থলির মধ্যে হাঁস পুরিয়া ফেলিল

 

পিতা। হারু! (নিরুত্তর) হারা! (নিরুত্তর) হেরো!

হারাধন। আজ্ঞে!

পিতা। তোর পেট হঠাৎ অমন ফুলে উঠল কী করে?

হারাধন। বাবা, কাল সেই তালের বড়া খেয়ে।

পিতা। অমন ক্যাঁক্‌ ক্যাঁক্‌ শব্দ হচ্ছে কেন?

হারাধন। পেটের ভিতর নাড়ীগুলো ডাকছে।

পিতা। দেখি, পেটে হাত দিয়ে দেখি।

হারাধন। ( শশব্যস্তে) ছুঁয়ো না, ছুঁয়ো না, বড্ড ব্যথা হয়েছে।

পেটের মধ্যে ক্যাঁক্‌ ক্যাঁক্‌

পিতা। ( স্বগত) সব বোঝা গেছে। হতভাগাকে জব্দ করতে হবে। ( প্রকাশ্যে ) তোমার রোগ সহজ নয় ; এসো বাপু, তোমাকে হাঁসপাতালে নিয়ে যাই।