প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
জমিদার। বেড়ালের কথাই তো হচ্ছে — আমি বলছি এমন বেড়াল মেলে না।
চতুর্ভুজ। ( স্বগত) আ খেলে যা!
জমিদার। বিকেলের দিকে বেড়ালটি সঙ্গে করে আমাদের ও দিকে একবার যেয়ো। ছেলেরা দেখে ভারি খুশি হবে।
চতুর্ভুজ। তা হবে বৈকি। ছেলেরা অনেক দিন আমাকে দেখে নি।
জমিদার। হাঁ — তা তো বটেই — কিন্তু আমি বলছি, তুমি যদি যেতে না পার তো বেড়ালটি বেণীর হাত দিয়ে পাঠিয়ে দিয়ো — ছেলেদের দেখাব।
[ প্রস্থান
সাতুখুড়ো। এই-যে, অনেক দিনের পর দেখা।
চতুর্ভুজ। তা আর হবে না! কতগুলো একজামিন-
সাতুখুড়ো। এই বেড়ালটি —
চতুর্ভুজ। ( সরোষে) আমি বাড়ি চললেম।
[ প্রস্থানোদ্যম
সাতুখুড়ো। আরে, শুনে যাও-না — এ বেড়ালটি —
চতুর্ভুজ। না মশায়, বাড়িতে কাজ আছে।
সাতুখুড়ো। আরে, একটা কথার উত্তরই দাও-না — এ বেড়ালটি-
[ কোনো উত্তর না দিয়া হন্হন্ বেগে চতুর্ভুজের প্রস্থান
সাতুখুড়ো। আ মোলো! ছেলেপুলেগুলো লেখাপড়া শিখে ধনুর্ধর হয়ে ওঠেন। গুণ তো যথেষ্ট — অহংকার চার পোয়া!
[ প্রস্থান
দাসী। মাঠাকরুন, দাদাবাবু একেবারে আগুন হয়ে এসেছেন।
মা। কেন রে?
দাসী। কী জানি বাপু!
চতুর্ভুজের প্রবেশ
ছোটো ছেলে। দাদাবাবু, এ বেড়ালটি আমাকে —
চতুর্ভুজ। ( তাহাকে এক চপেটাঘাত) দিন রাত্রি কেবল বেড়াল বেড়াল বেড়াল!
মা। বাছা সাধে রাগ করে! এত দিন পরে বাড়ি এল, ছেলেগুলি বিরক্ত করে খেলে। যা, তোরা সব যা! (চতুর্ভুজের প্রতি) আমাকে দাও বাছা — দুধভাত রেখে দিয়েছি, আমি তোমার বেড়ালকে খাইয়ে আনছি।