প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
তিনকড়ি। যে আজ্ঞে।
দিদিমার প্রবেশ
দিদিমা। ( ভুতুর মা'র প্রতি অন্তরালে) ও বউ, পিঠে তো সব ফুরিয়ে গেছে, আর একখানাও বাকি নেই।
ভুতুর মা। কী হবে!
দিদিমা। কী আর হবে?
তিনকড়ির পাশে গিয়া পরিহাস করিয়া পিঠে এক কিল মারিয়া
পিঠে আর খাবে!
তিনকড়ি। আজ্ঞে না।
দিদিমা। সে কী কথা! আর দুটো খাও।
আরো দুটো কিল
তিনকড়ি। ( গাত্রোত্থান করিয়া) আজ্ঞে না। আর আবশ্যক নেই।
তিনকড়ি। ( ক্ষীণকন্ঠে) ভুতুবাবু, তোমার বাবা কোথায় হে?
বনমালী। বদ্যি ডাকতে গেছে।
তিনকড়ি। ( কাতর স্বরে) আর বদ্যি ডেকে কী হবে! ওষুধ খাব যে তার জায়গা কোথায়?
বনমালী। তোমার পেটে কী হয়েছে তিনকড়িদা?
তিনকড়ি। যাই হোক গে, কাল তোমাকে যা শিখিয়েছিলুম মনে আছে কি?
বনমালী। আছে।
তিনকড়ি। কী বলো দেখি।
বনমালী। পেটে খেলে পিঠে সয়।
তিনকড়ি। আজ আর-একটা শেখাব। কথাটা মনে রেখো — ‘ পিঠে খেলে পেটে সয় না '।