পেটে ও পিঠে
তোমাদের বয়েসে আমরা খেতুম হাঁসের মতো। সবগুলি খেতে হবে তা বলছি।

তিনকড়ি। যে আজ্ঞে।

দিদিমার প্রবেশ

দিদিমা। ( ভুতুর মা'র প্রতি অন্তরালে) ও বউ, পিঠে তো সব ফুরিয়ে গেছে, আর একখানাও বাকি নেই।

ভুতুর মা। কী হবে!

দিদিমা। কী আর হবে?

তিনকড়ির পাশে গিয়া পরিহাস করিয়া পিঠে এক কিল মারিয়া

পিঠে আর খাবে!

তিনকড়ি। আজ্ঞে না।

দিদিমা। সে কী কথা! আর দুটো খাও।

আরো দুটো কিল

তিনকড়ি। ( গাত্রোত্থান করিয়া) আজ্ঞে না। আর আবশ্যক নেই।


তৃতীয় দৃশ্য
পরদিন তিনকড়ি শয্যাগত। পাশে বনমালী

তিনকড়ি। ( ক্ষীণকন্ঠে) ভুতুবাবু, তোমার বাবা কোথায় হে?

বনমালী। বদ্যি ডাকতে গেছে।

তিনকড়ি। ( কাতর স্বরে) আর বদ্যি ডেকে কী হবে! ওষুধ খাব যে তার জায়গা কোথায়?

বনমালী। তোমার পেটে কী হয়েছে তিনকড়িদা?

তিনকড়ি। যাই হোক গে, কাল তোমাকে যা শিখিয়েছিলুম মনে আছে কি?

বনমালী। আছে।

তিনকড়ি। কী বলো দেখি।

বনমালী। পেটে খেলে পিঠে সয়।

তিনকড়ি। আজ আর-একটা শেখাব। কথাটা মনে রেখো — ‘ পিঠে খেলে পেটে সয় না '।