পরিত্রাণ
উদয়াদিত্যের প্রবেশ

উদয়। দাদামশায় যে!

বসন্ত। আয় ভাই, আয়।

উদয়। সমস্তই স্বপ্ন নাকি? আমি তো বুঝতে পারছি নে।

সীতারাম। যুবরাজ, এই দিকে নৌকো আছে, শীঘ্র আসুন।

উদয়। কেন, নৌকো কেন?

সীতারাম। নইলে আবার প্রহরীরা ধরে ফেলবে।

উদয়। কেন, আমি কি পালিয়ে যাচ্ছি।

বসন্ত। হাঁ ভাই, আমি তোকে চুরি করে নিয়ে চলেছি।

সীতারাম। কয়েদখানায় আমিই আগুন লাগিয়েছি।

উদয়। কী সর্বনাশ! মরবি যে রে!

সীতারাম। যতদিন তুমি কয়েদে ছিলে, প্রতিদিন আমি মরেছি।

উদয়। না, আমি পালাব না।

বসন্ত। কেন দাদা।

উদয়। নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে অন্যদের বিপদের জালে জড়াতে পারব না।

বসন্ত। অন্যদের যে তাতেই আনন্দ। তোমার তাতে কোনো অপরাধ নেই।

উদয়। সে আমি পারব না। কারাগারের বন্ধন আমার পক্ষে তার চেয়ে অনেক ভালো। যদি পালাই তবে মুক্তি আমার ফাঁস হবে। আমি কারাগারে ফিরব।

বসন্ত। কারাগার তো গেছে ছাই হয়ে, তুমি ফিরবে কোথায়।

উদয়। ওই দিকে একখানা ঘর বাকি আছে।

বসন্ত। তা হলে আমিও যাই।

উদয়। না, তুমি যেতে পারবে না। কিছুতেই না।

বসন্ত। আচ্ছা তা হলে আমি বিভার কাছে যাই। তার প্রাণটা যে কীরকম করছে, সে আমিই জানি।

উদয়। সীতারাম আমার জন্যে যে নৌকো তৈরি আছে সে নৌকোয় চড়ে এখনই তুই রায়গড়ে চলে যা।

সীতারাম। (উদয়কে প্রণাম করিয়া) তা ছাড়া আমার আর গতি নিই। প্রভু, যদি কোনো পুণ্য করে থাকি আর-জন্মে যেন তোমার দাস হয়ে জন্মাই।

[ উভয়ের প্রস্থান

ধনঞ্জয়ের প্রবেশ
নৃত্য ও গীত

ওরে আগুন আমার ভাই,