নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা

যূথীবনের গন্ধবাণী

ছুটল নিরুদ্দেশে —

পরান আমার জাগল বুঝি

মরণ-অন্তরালে॥

সখী।                সখী, কী দেখা দেখিলে তুমি!

এক পলকের আঘাতেই

খসিল কি আপন পুরানো পরিচয়।

       রবিকরপাতে

    কোরকের আবরণ টুটি

    মাধবী কি প্রথম চিনিল আপনারে।

চিত্রাঙ্গদা।           বঁধু,   কোন্‌ আলো লাগল চোখে!

বুঝি   দীপ্তিরূপে ছিলে সূর্যলোকে!

ছিল মন তোমারি প্রতীক্ষা করি

যুগে যুগে দিন রাত্রি ধরি,

ছিল   মর্মবেদনাঘন অন্ধকারে,

জন্ম-জনম গেল বিরহশোকে।

অস্ফুটমঞ্জরী কুঞ্জবনে,

সংগীতশূন্য বিষণ্ন মনে

সঙ্গীরিক্ত চিরদুঃখরাতি

পোহাব কি নির্জনে শয়ন পাতি!

সুন্দর হে, সুন্দর হে,

বরমাল্যখানি তব আনো বহে,

অবগুণ্ঠনছায়া ঘুচায়ে দিয়ে

     হেরো লজ্জিত স্মিতমুখ শুভ আলোকে॥

[প্রস্থান

বন্য অনুচরদের সঙ্গে অর্জুনের প্রবেশ ও নৃত্য