বাচস্পতি
                   *
                *    *
যার যত নাম আছে সব গড়া পেটা,
যে নাম সহজে আসে দেওয়া যাক সেটা—
এই বলে কাউকে সে ডাকে বুজ্‌কুল,
আদ্‌রুম ডাকত সে যে ছিল অতুল।
মোতিরাম দাস নিল নাম মুচকুস,
কাশিরাম মিত্তির হল পুচফুস।
পাঁশগাড়ি নাম নিল পাঁচকড়ি ঘোষ,
আজ হতে বাজ্‌রাই হল আশুতোষ।
ভুষকুড়ি রায় হল শ্রীমজুমদার,
কুর্দম হয়ে গেল যে ছিল কেদার।
যেদিন যূথীরে নাম দিল ভুজকুশি,
সেদিন স্বামীর সাথে হল ঘুষোঘুষি।
পিচকিনি নাম দিল যবে ললিতারে
দাদা এসে রাস‌কেল বলে গেল তারে।
মিঠে মিঠে নাম যত মানে দিয়ে ঘেরা,
সে বলত, ভাবীকালে রবে না তো এরা—
পিত্ত নাশিবে নাম যদি হয় তিতো,
ভুজকালি নাম দেখো আমি নিয়েছি তো।
পাড়ার লোকেরা বলে ঘিরে তার বাড়ি,
ভাবীকালে পৌঁছিয়ে দিব তবে গাড়ি।
বেচারা গতিক দেখে দিল মুখ ঢাকা,
পিছে পিছে তাড়া করে মেসো আর কাকা।
দিয়েছিল যে মেয়ের নাম উজকুড়ি,
সঙ্গে উকিল নিয়ে এল তার খুড়ি।
শুনলে সে কেস্‌ হবে ডিফামেশনের,
ছেড়ে দিলে কাজ নাম-পরিবেশনের।