ঋণশোধ
ঠাকুরদাদা। কারও পালাবার পথ কি রেখেছ? আটঘাট ঘিরে ফেলেছ যে। ঐ আসছে।

শেখরের সঙ্গে বালকগণের প্রবেশ

সকলে। সন্ন্যাসী ঠাকুর, সন্ন্যাসী ঠাকুর।

সন্ন্যাসী। (উঠিয়া দাঁড়াইয়া) এসো, বাবা, সব এসো।

সকলে। একী! এ যে রাজা। আরে পালা, পালা!

পলায়নোদ্যম

ঠাকুরদাদা। আরে পালাস নে! পালাস নে!

সন্ন্যাসী। তোমরা পালাবে কি, উনিই পালাচ্ছেন। যাও সোমপাল, সভা প্রস্তুত করো গে, আমি যাচ্ছি।

সোমপাল। যে আদেশ।

[প্রস্থান

বালকেরা। আমরা বনে পথে সব জায়গায় গেয়ে গেয়ে এসেছি, এইবার এখানে গান শেষ করি।

শেখর। হাঁ ভাই, তোরা ঠাকুরকে প্রদক্ষিণ করে করে গান গা।

সকলের গান
আমার    নয়ন-ভুলানো এলে!
আমি    কী হেরিলাম হৃদয় মেলে!
         শিউলিতলার পাশে পাশে,
         ঝরা ফুলের রাশে রাশে,
         শিশির-ভেজা ঘাসে ঘাসে
            অরুণরাঙা চরণ ফেলে
            নয়ন-ভুলানো এলে!
         আলোছায়ার আঁচলখানি
            লুটিয়ে পড়ে বনে বনে,
         ফুলগুলি ওই মুখে চেয়ে
            কী কথা কয় মনে মনে।
         তোমায় মোরা করব বরণ,
         মুখের ঢাকা করো হরণ,
         ওইটুকু ওই মেঘাবরণ
            দু-হাত দিয়ে ফেলো ঠেলে!