পরিশিষ্ট ১
             গাঁথি গাঁথি সাজায়ে দে মোরে, কবরী ভরিয়ে ফুলভার।
             তুলে দে লো, চঞ্চল কুন্তল কপোলে পড়িছে বারে-বারৼ
        প্রথমা।     আজি এত শোভা কেন।আনন্দে বিবশা যেন—
           দ্বিতীয়া।     বিম্বাধরে হাসি নাহি ধরে, লাবণ্য ঝরিয়া পড়ে ধরাতলেৼ
        প্রথমা।     সখী, তোরা দেখে যা,দেখে যা—
             তরুণ তনু এত রূপরাশি বহিতে পারে না বুঝি আরৼ
           দ্বিতীয়া।     জীবনে পরম লগন কোরো না হেলা,
             কোরো না হেলা হে গরবিনী।
             বৃথাই কাটিবে বেলা, সাঙ্গ হবে যে খেলা—
             সুধার হাটে ফুরাবে বিকিকিনি।
             মনের মানুষ লুকিয়ে আসে, দাঁড়ায় পাশে—
             হেসে চলে যায় জোয়ার-জলে ভাসিয়ে ভেলা।
             দুর্লভধনে দুঃখের পণে লও গো জিনি।
             ফাগুন যখন যাবে গো নিয়ে ফুলের ডালা
             কী দিয়ে তখন গাঁথিবে তোমার বরণমালা  হে গরবিনী।
             বাজবে বাঁশি দূরের হাওয়ায়,
             চোখের জলে শূন্যে চাওয়ায়  কাটবে প্রহর—
             বাজবে বুকে বিদায়পথের চরণ ফেলা  হে গরবিনীৼ
         তৃতীয়া।     সখী, বহে গেল বেলা, শুধু হাসি খেলা
             এ কি আর ভালো লাগে।
           আকুল তিয়াষ প্রেমের পিয়াস প্রাণে কেন নাহি জাগে।                          
                কবে আর হবে থাকিতে জীবন
             আঁখিতে আঁখিতে মদির মিলন—
             মধুর হুতাশে মধুর দহন নিতিনব অনুরাগে।
             তরল কোমল নয়নের জল নয়নে উঠিবে ভাসি,
             সে বিষাদনীরে নিবে যাবে ধীর প্রখর চপল হাসি।
             উদাস নিশ্বাস আকুলি উঠিবে,
             আশা-নিরাশায় পরান টুটিবে—
             মরমের আলো কপোলে ফুটিবে শরম-অরুণ রাগেৼ
        প্রমদা।     ওলো, রেখে দে সখী, রেখে দে—মিছে কথা ভালোবাসা।
              সুখের বেদনা,সোহাগযাতনা—বুঝিতে পারে না ভাষা।
             ফুলের বাঁধন, সাধের কাঁদন,
             পরান সঁপিতে প্রাণের সাধন,