শৈশবসঙ্গীত
মুখ নিদারুণ— আঁখি রোষারুণ—
হৃদয়ে জ্বলিছে রোষের আগুন,
    করে অসি খরধার!
গিরি-অধিপতি রণধীরগৃহে
    লীলা আসিতেছে আজি—
গিরিবাসীগণ হরষে মেতেছে,
    বাজানা উঠেছে বাজি।
অস্তে গেল রবি পশ্চিমশিখরে,
    আইল গোধূলিকাল—
ধীরে ধরণীরে ফেলিল আবরি
    সঘন আঁধারজাল।
ওই আসিতেছে লীলার শিবিকা
    নৃপতিভবনপানে—
শত অনুচর চলিয়াছে সাথে
    মাতিয়া হরষগানে।
জ্বলিছে আলোক, বাজিছে বাজনা,
    ধ্বনিতেছে দশ দিশি—
ক্রমশঃ আঁধার হইল নিবিড়
    গভীর হইল নিশি।
চলেছে শিবিকা গিরিপথ দিয়া
    সাবধানে অতিশয়—
বনমাঝ দিয়া গিয়াছে সে পথ,
    বড় সে সুগম নয়।
অনুচরগণ হরষে মাতিয়া
    গাইছে হরষগীত—
সে হরষধ্বনি— জনকোলাহল
    ধ্বনিতেছে চারি ভিত।
থামিল শিবিকা, পথের মাঝারে
    থামে অনুচরদল—
সহসা সভয়ে “দস্যু দস্যু” বলি
    উঠিল রে কোলাহল।