সিদ্ধি
সুখে তার মন ভরে উঠল।

কিন্তু তার পরেই নদীর ধারে শিরীষগাছের ছায়ায় তার চোখের জল আর থামতে চায় না। কী ভাবলে কী জানি।

পরদিন সকালে কাঠকুড়নি তাপসকে প্রণাম করে বললে, “প্রভু, আশীর্বাদ চাই।”

তপস্বী জিজ্ঞাসা করলে, “কেন।”

মেয়েটি বললে, “আমি বহুদূর দেশে যাব।”

তপস্বী বললে, “যাও, তোমার সাধনা সিদ্ধ হোক।”


একদিন তপস্যা পূর্ণ হল।

ইন্দ্র এসে বললেন, “স্বর্গের অধিকার তুমি লাভ করেছে।”

তপস্বী বললে, “তা হলে আর স্বর্গে প্রয়োজন নেই।”

ইন্দ্র জিজ্ঞাসা করলেন, “কী চাও।”

তপস্বী বললে, “এই বনের কাঠকুড়নিকে।”