ব্যক্তিপ্রসঙ্গ

পাষাণপিঞ্জর টুটি, বজ্রগর্জরব

ভেরিমন্দ্রে মেঘপুঞ্জ জাগায় ভৈরব।

এ উদাও সংগীতের তরঙ্গ-মাঝার,

অরবিন্দ, রবীন্দ্রের লহো নমস্কার॥

 

তার পরে তাঁরে নমি,যিনি ক্রীড়াচ্ছলে

গড়েন নূতন সৃষ্টি প্রলয়-অনলে,

মৃত্যু হতে দেন প্রাণ, বিপদের বুকে

সম্পদেরে করেন লালন, হাসিমুখে

ভক্তেরে পাঠায়ে দেন কন্টককান্তারে

রিক্তহস্তে শত্রুমাঝে রাত্রি-অন্ধকারে;

যিনি নানা কন্ঠে কন, নানা ইতিহাসে,

সকল মহৎ কর্মে, পরম প্রয়াসে,

সকল চরম লাভে, ‘ দুঃখ কিছু নয় —

ক্ষত মিথ্যা, ক্ষতি মিথ্যা, মিথ্যা সর্ব ভয়।

কোথা মিথ্যা রাজা, কোথা রাজদন্ড তার!

কোথা মৃত্যু, অন্যায়ের কোথা অত্যাচার!

ওরে ভীরু, ওরে মূঢ়, তোলো তোলা শির,

আমি আছি, তুমি আছ, সত্য আছে স্থির।'

নন্দলাল বসু
ওঁ

                        শ্রীমান নন্দলাল বসু

                           পরম কল্যাণীয়েষু

তোমার তুলিকা রঞ্জিত করে

ভারত-ভারতী চিও।

বঙ্গলক্ষ্মী ভান্ডারে সে যে

জোগায় নূতন বিও।

ভাগ্যবিধাতা আশিসমন্ত্র

দিয়েছে তোমার কর্নে —

বিশ্বের পটে স্বদেশের নাম

লেখো অক্ষয় বর্ণে!