ডি প্রোফণ্ডিস্‌

Be prosperously shaped, and sway thy course

Along the years of haste and random youth

Unshatter’d ; then full-current thro’ full man ;

And last in kindly curves, with gentlest fall,

By quiet fields, a slowly-dying power,

To that last deep where we and thou are still.

এখন আর সে নিতান্তই তাঁহাদের নহে। এখন তাহার নিজত্ব বিকশিত হইয়াছে। এখন তাহার নিজের কাজ আছে। কবি তাহার মর্ত্ত্য জীবনের তিনটি অবস্থা সমালোচনা করিয়াছেন। প্রথমে মর্ত্ত্য জীবনের আদি কারণ আলোচনা করিলেন, পরে তাহার জন্ম অর্থাৎ মনুষ্যশরীর-ধারণ আলোচনা করিলেন ও পরে তাহার পার্থিব জীবন আলোচনা করিলেন। এইখানেই সমস্ত ফুরাইল। প্রথম সম্ভাষণ শেষ হইল। এই সম্ভাষণে কবি একটি মর্ত্ত্যের মনুষ্যকে সম্ভাষণ করিয়াছেন। যতক্ষণ সে মনুষ্য ততক্ষণ সে তাঁহার। তাঁহাকে সমর্পণ করিবার জন্যই অতীত ইহাকে গড়িয়াছে। গঠিত অবস্থায় দেখিলেন সে তাঁহারই মত। ইহাতে কেবল শরীর ও জীবনের কথাই আছে। “তুমি বাঁচিয়া থাক, তুমি কাজ কর, তোমার জীবন পূর্ণতা প্রাপ্ত হউক, ও অবশেষে যথাসময়ে অতি ধীরক্রমে তাহার অবসান হউক “ – ইহাই কবির সমস্ত সম্ভাষণের মর্ম্ম। কবি তাঁহার সন্তানের মর্ত্ত্য অংশকে সম্ভাষণ করিতেছেন, সুতরাং উপরি-উক্ত আশীর্ব্বচন মর্ত্ত্য জীবনের প্রতি সর্ব্বতোভাবে প্রয়োগ করা যাইতে পারে। যাহা হউক, এইখানেই সমস্ত শেষ হইয়া যায় – জীবন আরম্ভ হইল, জীবন শেষও হইল। তখন জীবনের সমাধিস্তম্ভের উপর কবি দাঁড়াইয়া দূর দূরান্তরে দৃষ্টি চালনা করিলেন; দেখিলেন জীবন শেষ হইল, তাঁহার সন্তান শেষ হইল, কিন্তু যে সূত্র বাহিয়া এই সন্তান আসিয়াছে সেই সূত্রের শেষ হইল না। তিনি এখন দেখিলেন অনন্ত পথের একজন পথিক, পথের মধ্যে অবস্থিত তাঁহার গৃহে, পৃথিবীতলে অতিথি হইয়াছে। এই আতিথ্যজীবনকে সন্তান বলে, মনুষ্য বলে। আতিথ্যজীবন ফুরায়, সন্তানও ফুরায়, মনুষ্যও ফুরায়, কিন্তু পথিক ফুরায় না। প্রথমে তিনি সেই অতিথিকে সম্ভাষণ করিলেন, এখন সেই মহাপান্থকে সম্ভাষণ করিতেছেন। এখন পৃথিবীর অতিথিকে নহে, মহাকালের অতিথিকে সম্ভাষণ করিলেন। এখন তিনি দেখিতেছেন যে, এই পথিক সৌর জগতেরও জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা। প্রথম সম্ভাষণে তিনি কোটি কোটি যুগ ও আবর্ত্ত্যমান আলোকের নির্ম্মাণশালার উল্লেখ করিয়াছেন, অপরিবর্ত্তনীয় পরিবর্ত্তনের জগতে ক্রমোত্থানশীল জীবনের উল্লেখ করিয়াছেন এবং কহিয়াছেন –

With this last moon, this crescent – her dark orb

Touch’d with earth’s light – thou comest

অর্থাৎ মনুষ্যের জন্মও এইরূপ চন্দ্রকলার ন্যায়; তাহার একাংশ পৃথিবীর জীবন, পৃথিবীর বুদ্ধি পাইয়া আলোকিত হয়। দ্বিতীয় ভাগে যাহাকে সম্ভাষণ করিতেছেন তাহার কারণ আলোচনা করিতে গিয়া কবি সময়ের সংখ্যা গণনা করেন নাই, নির্ম্মাণের উপাদান উল্লেখ করেন নাই। এইবার তিনি কহিতেছেন –

Out of the deep, my child, out of the deep,

From that great deep, before our world begins,

Whereon the Spirit of God moves as he will –

Out of the deep, my child, out of the deep,

From that true world within the world we see,