হেঁয়ালিনাট্য

খগেশ। (হঠাৎ অত্যন্ত উত্তেজিত হইয়া) Now, come–কেন খেতে যাব!

যজ্ঞেশ্বর। কথা ছিল যে।

খগেশ। কী কথা ছিল ভালো করে analyse করে দেখা যাক। তুমি আমাকে বললে, ‘খগি, কাল আমাদের বাড়ি খেতে যাবে কি?’ আমি বললুম, ‘হাঁ।’ ভেবে দেখো it was no promise। তুমি simply একটি fact জানতে চেয়েছিলে, এবং তখন যেটা likely answer বোধ হল সেইটে তোমাকে বললুম। মনে করো if you had asked me ‘খগি, কাল তুমি কি কালো মোজা পরবে’ and if I happened to have answered ‘হাঁ’ এবং আজ যদি আমি কালো মোজা না পরতুম, what then! কিন্তু তুমি যদি বলতে-

যজ্ঞেশ্বর। বুঝেছি খগেশ, আর কাজ নেই।

খগেশ। কাজ আছে। তুমি নাকি হঠাৎ এসে একটা wrong statement করে সকলের মনে একটা vague impression create করে দিয়েছ যে আমি আমার promise রাখি নে, তারই absurdity আমি প্রমাণ করে দিতে চাই! Now, to the point–তুমি আমাকে next question জিজ্ঞাসা করলে, ‘কখন আসবে?’ আমি বললুম, ‘তা বলতে পারি নে, আমি ঘড়ি ধরে কাজ করি নে।’ তুমি একটা further question জিজ্ঞাসা করলে, আমি তার একটা indefinite উত্তর দিলুম—and the last question was, ‘তুমি কী খাবে? মাংস না ডাল ভাত?’ আমি বললুম, ‘যা পাব তাই খাব।’ There it ended। এর থেকে কী কী প্রমাণ হচ্ছে দেখা যাক-

যজ্ঞেশ্বর। রক্ষে করো বাপু, আমার বাড়িতে যে তোমার পা পড়ে নি সে আমার পরম সৌভাগ্য বলতে হবে।

অন্য পাঁচজন। পা পড়ে নি বলছেন কি, মাথা পড়ে নি বলুন–আপনার নেমন্তন্নের মধ্যে যদি ওর clear headটা হঠাৎ গিয়ে পড়ত সে তো কামানের গোলা পড়ত, আপনার বন্ধুবান্ধবেরা সশঙ্কিত হয়ে উঠত। clear head অতি ভয়ানক জিনিস! বিশেষ সভাস্থলে।

যজ্ঞেশ্বর। তা ঠিক বলেছেন।

বৈকুণ্ঠ। (পিঠ থাবড়াইয়া) তুমি বলে যাও-না খগেশ! থামলে কেন? বেশ বলছিলে।

খগেশ। যার এক-পাতা logic পড়া আছে সে কখনো deny করতে পারবে না যে–

যজ্ঞেশ্বর। তোমার যা বলবার বলো, আমরা চললুম।

বৈকুণ্ঠ। কেন কেন!

যজ্ঞেশ্বর। ভদ্রসমাজে–নিমন্ত্রণে বা বন্ধুবান্ধবের সভায়–ভদ্রলোকেরা গল্পসল্প করে, আমোদ করে, আলোচনা করে, কিন্তু পারতপক্ষে তর্ক করে না। যারা কথায় কথায় তর্ক উঁচিয়ে খেঁকিয়ে আসে, তাদের একরকম সংকীর্ণ তীক্ষ্ম বুদ্ধি থাকতে পারে বটে, কিন্তু তারা ভদ্র নয়।

বৈকুণ্ঠ। কিন্তু idea-র precision–

খগেশ। perception-এর clearness–

বৈকুণ্ঠ। expression-এর luminous lucidity–

খগেশ। the sense of utter futility of all fog and fallacy–

যজ্ঞেশ্বর। ও-সবই থাকতে পারে, কিন্তু তাই বলে তার্কিকতা-নামক তীক্ষ্ণ ও নর্তনশীল জিহ্বাগ্রভাগ সগর্বে সকলকে প্রদর্শন করবার জন্যে সর্বদা বের করে উঁচিয়ে রেখে দিতে হবে–ভদ্রসমাজে তার কোনো আবশ্যক নেই।