শিশু ভোলানাথ
          খসাব একটানে,
                   দেখব তারেই বর্তমানের কালে।
ছাদের কোণে পুকুরপারে
জানব নিত্য-অজানারে
                   মিশিয়ে রবে অচেনা আর চেনা;
জমিয়ে ধুলো সাজিয়ে ঢেলা
তৈরি হবে আমার খেলা,
                   সুখ রবে মোর বিনামূল্যেই কেনা।

 

বড়ো হবার দায় নিয়ে, এই
          বড়োর হাটে এসে
                   নিত্য চলে ঠেলাঠেলির পালা।
যাবার বেলায় বিশ্ব আমার
          বিকিয়ে দিয়ে শেষে
                   শুধুই নেব ফাঁকা কথার ডালা!
কোন্‌টা সস্তা, কোন্‌টা দামি
ওজন করতে গিয়ে আমি
                   বেলা আমার বইয়ে দেব দ্রুত,
সন্ধ্যা যখন আঁধার হবে
হঠাৎ মনে লাগবে তবে
                   কোনোটাই না হল মনঃপুত।

 

বাল্য দিয়ে যে-জীবনের
          আরম্ভ হয় দিন
                   বাল্যে আবার হোক-না তাহা সারা।
জলে স্থলে সঙ্গ আবার
          পাক-না বাঁধন-হীন,
                   ধুলায় ফিরে আসুক-না পথহারা।
সম্ভাবনার ডাঙা হতে
অসম্ভবের উতল স্রোতে
                   দিই-না পাড়ি স্বপন-তরী নিয়ে।
আবার মনে বুঝি না এই,