শ্যামলী

           বারে বারে রক্তে - পিছল দুর্গমে

              ছুটে এসেছে শতচ্ছিদ্র শতাব্দীর বাইরে

                পথ - না - চেনা দিক্‌সীমানার অলক্ষ্যে।

         তার হৃৎপিণ্ডের রক্তের ধাক্কায় ধাক্কায়

              ডমরুতে বেজেছে গুরু গুরু,

                   “ পেরিয়ে চলো, পেরিয়ে চলো। ”

 

        ওরে চিরপথিক,

              করিস নে নামের মায়া,

                  রাখিস নে ফলের আশা,

                        ওরে ঘরছাড়া মানুষের সন্তান।

              কালের - রথ - চলা রাস্তায়

         বারে বারে কারা তুলেছিল জয়ের নিশানা

              বারে বারে পড়েছে চুরমার হয়ে

                     মানুষের কীর্তিনাশা সংসারে।

         লড়াইয়ে - জয় - করা রাজত্বের প্রাচীর

              সে পাকা করতে গেছে ভুল সীমানায়।

         সীমানাভাঙার দল ছুটে আসছে

                বহু যুগ থেকে

              বেড়া ডিঙিয়ে, পাথর গুঁড়িয়ে,

                   পার হয়ে পর্বত ;

              আকাশে বেজে উঠছে নিত্যকালের দুন্দুভি,

                     “ পেরিয়ে চলো,

                               পেরিয়ে চলো। ”