বীথিকা

তবুও সে আজ হতে চিরকাল রবে তুমি - হীন।

         বসে আমাদের মাঝখানে

          কভু যে তোমার গানে গানে

ভরিবে না সুখসন্ধ্যা, মনে হয়, অসম্ভব অতি—

বর্ষে বর্ষে দিনে দিনে প্রমাণ করিবে সেই ক্ষতি।

 

বারে বারে নিতে তুমি গীতিস্রোতে কবি - আশীর্বাণী,

তাহারে আপন পাত্রে প্রণামে ফিরায়ে দিতে আনি।

          জীবনের দেওয়া - নেওয়া সেই

          ঘুচিল অন্তিম নিমেষেই—

স্নেহোজ্জ্বল কল্যাণের সে সম্বন্ধ তোমার আমার

গানের নির্মাল্য - সাথে নিয়ে গেলে মরণের পার।

 

হায় হায়, এত প্রিয়, এতই দুর্লভ যে সঞ্চয়

একদিনে অকস্মাৎ তারও যে ঘটিতে পারে লয়!

          হে অসীম, তব বক্ষোমাঝে

          তার ব্যথা কিছুই না বাজে,

সৃষ্টির নেপথ্যে সেও আছে তব দৃষ্টির ছায়ায়—

স্তব্ধবীণা রঙ্গগৃহে মোরা বৃথা করি ‘ হায় হায় '।

 

হে বৎসে, যা দিয়েছিলে আমাদের আনন্দভাণ্ডারে

তারি স্মৃতিরূপে তুমি বিরাজ করিবে চারিধারে।

          আমাদের আশ্রম - উৎসব

          যখনই জাগাবে গীতরব

তখনি তাহার মাঝে অশ্রুত তোমার কণ্ঠস্বর

অশ্রুর আভাস দিয়ে অভিষিক্ত করিবে অন্তর।