পত্রপুট

          তোমার কাছে ঋষিকবির প্রার্থনামন্ত্র,

      যে মন্ত্রে বলেছিলেন , হে পূষণ,

             তোমার হিরন্ময় পাত্রে সত্যের মুখ আচ্ছন্ন,

                   উন্মুক্ত করো সেই আবরণ।

 

          আমিও প্রতিদিন উদয়দিগ্‌বলয় থেকে বিচ্ছুরিত রশ্মিচ্ছটায়

                             প্রসারিত করে দিই আমার জাগরণ ;

                    বলি, হে সবিতা,

                          সরিয়ে দাও   আমার এই দেহ, এই আচ্ছাদন —

                     তোমার তেজোময় অঙ্গের সূক্ষ্ম   অগ্নিকণায়

                          রচিত যে-আমার দেহের অণুপরমাণু,

তারও অলক্ষ্য   অন্তরে আছে তোমার কল্যাণতম রূপ,

         তাই প্রকাশিত   হোক আমার নিরাবিল দৃষ্টিতে।

আমার অন্তরতম সত্য

         আদি যুগে অব্যক্ত পৃথিবীর সঙ্গে

              তোমার বিরাটে ছিল বিলীন,

                  সেই সত্য তোমারই।

তোমার জ্যোতির স্তিমিত কেন্দ্রে মানুষ

                    আপনার মহৎস্বরূপকে দেখেছে কালে কালে,

                              কখনো নীল-মহানদীর তীরে,

                                কখনো পারস্যসাগরের কূলে,

                                        কখনো হিমাদ্রিগিরিতটে —

বলেছে ‘ জেনেছি আমরা অমৃতের পুত্র ',

            বলেছে ‘ দেখেছি অন্ধকারের পার হতে

                        আদিত্যবর্ণ মহান পুরুষের আবির্ভাব '।