ছড়া
বলে ওঠে তিনকড়ি পোদ্দার,
আগে তুই উকিলের শোধ্‌ ধার।
ভিখু শুনে কেঁদে চোখ রগড়ায়,
একদম চলে গেল মগরায়।
মগরায় খুদি নিয়ে খুঞ্চে
খেজুরের আঁটিগুলো গুনছে—
যেই হল তিন-কুড়ি পাঁচটা,
দেখে নিল উনুনের আঁচটা।
ননদের ঘরে ক’রে ঘি চুরি
তখনি চড়িয়ে দিল খিচুড়ি।
হল না তো চালে ডালে মেলানো,
মুশকিল হবে ওটা গেলানো।
সাড়া পায় মাছওয়ালা মিন্সের;
বলে, পাকা রুই চাই তিন সের।
বনমালী মাছ আনে গামছায়;
বলে, ও যে এক্ষুনি দাম চায়।
আচ্ছা, সে দেখা যাবে কালকে—
ব’লেই সে চলে গেল শালকে।
মুন্সি যখন লেখে তৌজি,
জলে নামে শালকের বউ ঝি।
শাল্‌কের ঘাটে ভাঙা পাল্কি;
কালু যাবে বানিচঙে কাল কি।
বানিচঙে ঢেঁকি পাকা-গাঁথ্‌নি,
ধান কাটে কালুদার নাৎনি।
বানিচঙ কোন্‌ দেশে কোন্‌ গাঁয়,
কে জানে সে যশোরে কি বনগাঁয়।
ফুটবলে বনগাঁর মোক্তার
যত হারে, তত বাড়ে রোখ তার।
তার ছেলে হরেরাম মিত্তির,
আঁক ক’ষে ব্যামো হল পিত্তির।
মুখ চোখ হয়ে গেল হলদে,
ওরে ওকে পলতার ঝোল দে।