জন্মদিনে

বহু আবর্জনা, বহু মিছে।

বার বার মনে মনে বলিতেছি, আমি চলিলাম —

যেথা নাই নাম,

যেখানে পেয়েছে লয়

সকল বিশেষ পরিচয়,

নাই আর আছে

এক হয়ে যেথা মিশিয়াছে,

যেখানে অখন্ড দিন

আলোহীন অন্ধকারহীন,

আমার আমির ধারা মিলে যেথা যাবে ক্রমে ক্রমে

পরিপূর্ণ চৈতন্যের সাগরসংগমে।

এই বাহ্য আবরণ, জানি না তো, শেষে

নানা রূপে রূপান্তরে কালস্রোতে বেড়াবে কি ভেসে।

আপন স্বাতন্ত্র্য হতে নিঃসক্ত দেখিব তারে আমি

বাহিরে বহুর সাথে জড়িত অজানা তীর্থগামী।

 

আসন্ন বর্ষের শেষ।   পুরাতন আমার আপন

শ্লথবৃন্ত ফলের মতন

ছিন্ন হয়ে আসিতেছে।         অনুভব তারি

আপনারে দিতেছে বিস্তারি

আমার সকল-কিছু-মাঝে

প্রচ্ছন্ন বিরাজে

নিগূঢ় অন্তরে যেই একা,

চেয়ে আছি পাই যদি দেখা।

পশ্চাতের কবি

মুছিয়া করিছে ক্ষীণ আপন হাতের আঁকা ছবি।

সুদূর সম্মুখে সিন্ধু, নিঃশব্দ রজনী,

তারি তীর হতে আমি আপনারি শুনি পদধ্বনি।

অসীম পথের পান্থ, এবার এসেছি ধরা-মাঝে

মর্তজীবনের কাজে।

সে পথের ’পরে

ক্ষণে ক্ষণে অগোচরে