পুনশ্চ

        সুনীত ধরেছে গান

            নটমল্লারের সুরে —

          আওয়ে পিয়রওয়া ,

               রিমিঝিমি বরখন লাগে!

           সুরের সুরেন্দ্রলোকে মন গেছে চলে,

    নিখিলের সব ভাষা মিলে গেছে অখণ্ড সংগীতে।

               অন্তহীন কালসরোবরে

                    মাধুরীর শতদল —

        তার ' পরে যে রয়েছে একা বসে

           চেনা যেন তবু সে অচেনা।

 

  সন্ধ্যা হল

        বৃষ্টি থেমে গেছে;

           জ্বলেছে পথের বাতি।

    পাশের বাড়িতে

           কোন্‌ ছেলে দুলে দুলে

    চেঁচিয়ে ধরেছে তার পরীক্ষার পড়া।

 

           এমন সময় সিঁড়ি থেকে

        অট্টহাস্যে এল হাঁক,

‘কোথা ওরে, কোথা গেল হাঁসখালি!'

মাংসল পৃথুলদেহ বটেকৃষ্ট স্ফীতরক্তচোখ

    ঘরে এসে দেখে

সুনীত দাঁড়িয়ে দ্বারে নিঃসংকোচ স্তব্ধ ঘৃণা নিয়ে

    স্থূল বিদ্রূপের ঊর্ধ্বে

           ইন্দ্রের উদ্যত বজ্র যেন।

জোর করে হেসে উঠে

    কী কথা বলতে গেল বটু,

         সুনীত হাঁকল ‘চুপ' —

অকস্মাৎ বিদলিত ভেকের ডাকের মতো

           হাসি গেল থেমে।