পুনশ্চ

           নিভৃত বাসরকক্ষের বাইরে।

যেদিন এল বিচ্ছেদ

    সেদিন বাঁধন-ছাড়া দুঃখ বেরোল

        নদী গিরি অরণ্যের উপর দিয়ে।

    কোণের কান্না মিলিয়ে গেল পথের উল্লাসে।

অবশেষে ব্যথার রূপ দেখা গেল

    যে কৈলাসে যাত্রা হল শেষ।

          

সেখানে অচল ঐশ্বর্যের মাঝখানে

                প্রতীক্ষার নিশ্চল বেদনা।

অপূর্ণ যখন চলেছে পূর্ণের দিকে

        তার বিচ্ছেদের যাত্রাপথে

           আনন্দের নব নব পর্যায়।

পরিপূর্ণ অপেক্ষা করছে স্থির হয়ে;

           নিত্যপুষ্প, নিত্যচন্দ্রালোক,

        নিত্যই সে একা — সেই তো একান্ত বিরহী।

যে অভিসারিকা তারই জয়,

        আনন্দে সে চলেছে কাঁটা মাড়িয়ে।

 

ভুল বলা হল বুঝি।

      সেও তো নেই স্থির হয়ে যে পরিপূর্ণ,

             সে যে বাজায় বাঁশি, প্রতীক্ষার বাঁশি —

         সুর তার এগিয়ে চলে অন্ধকার পথে।

      বাঞ্ছিতের আহ্বান আর অভিসারিকার চলা

             পদে পদে মিলছে একই তালে।

         তাই নদী চলেছে যাত্রার ছন্দে,

             সমুদ্র দুলছে আহ্বানের সুরে।