সানাই

          দেয় তারই হিংস্র সাক্ষ্য

                        ঝলকে ঝলকে

                              পলকে পলকে ,

                        বঙ্কিম নির্মম

                   মর্মভেদী তরবারি-সম।

             তবে তাই হোক,

     ফুৎকারে নিবায়ে দাও অতীতের অন্তিম আলোক।

চাহিব না ক্ষমা তব, করিব না দুর্বল বিনতি,

     পরুষ মরুর পথে হোক মোর অন্তহীন গতি,

          অবজ্ঞা করিয়া পিপাসারে,

     দলিয়া চরণতলে ক্রূর বালুকারে।

 

          মাঝে মাঝে কটুস্বাদ দুখে

তীব্র রস দিতে ঢালি রজনীর অনিদ্র কৌতুকে

               যবে তুমি ছিলে রহঃসখী।

প্রেমের ই সে দানখানি, সে যেন কেতকী

          রক্তরেখা এঁকে গায়ে

রক্তস্রোতে মধুগন্ধ দিয়েছে মিশায়ে।

     আজ তব নিঃশব্দ নীরস হাস্যবাণ

          আমার ব্যথার কেন্দ্র করিছে সন্ধান।

               সেই লক্ষ্য তব

          কিছুতেই মেনে নাহি লব,

     বক্ষ মোর এড়ায়ে সে যাবে শূন্যতলে,

          যেখানে উল্কার আলো জ্বলে

               ক্ষণিক বর্ষণে

                    অশুভ দর্শনে।

 

     বেজে ওঠে ডঙ্কা, শঙ্কা শিহরায় নিশীথগগনে —

হে নির্দয়া, কী সংকেত বিচ্ছুরিল স্খলিত কঙ্কণে।